

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষার্থীকে প্রকাশ্যে বেদম মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটে বুধবার (১৯ নভেম্বর) গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটের কাছে রাহমানিয়া হোটেলের সামনে।
ভুক্তভোগী দাবি করেছেন, তাকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করা হয়।
আহত শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলমাস মাহমুদ রাফিদ (সেশন ২০২০–২১)। তিনি অভিযোগ করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাদিউল আউয়াল সুজাত, সংগঠনের নেতা ফাহিম, সাইদ মো. রিদওয়ান, আরিফসহ আরও কয়েকজন, তাকে ঘিরে মারধর করে।
ঘটনার সূত্রপাত চারুকলার অভ্যন্তরীণ একটি বিষয়ে বাকবিতণ্ডা থেকে।
আলমাস জানান, পারমিশন ছাড়া কিছু পোস্টার ও লেখা প্রকাশের বিষয়ে তিনি আপত্তি জানালে বিষয়টি নেতিবাচকভাবে নেয়া হয়। পরে রাতের অন্ধকারে তাকে ডেকে নেওয়া হয় এবং ইট, কাঠ ও কলাগাছের কাঁধি দিয়ে তাকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। তার দাবি, সুজাত ইট দিয়ে তার মাথায় আঘাত করতে উদ্যত হন।
রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মেডিকেল সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. শুভাশীষ চৌধুরী জানান, শিক্ষার্থীর মাথার মাঝামাঝি স্থানে প্রায় ৩ ইঞ্চি গভীর ক্ষত ছিল।
অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক সুজাত বলেন, ‘মারধরের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এটা চারুকলার অভ্যন্তরীণ বিরোধ। আমরা ঘটনাস্থলে থাকা মানেই হামলায় অংশ নেওয়া নয়।’
অন্য অভিযুক্ত রিদওয়ানও একই দাবি করেন, ‘এটি বিভাগের মধ্যকার বিবাদ, ছাত্রদলের নাম অযথা জড়ানো হচ্ছে।’
এদিকে ফাহিম নামের আরেক অভিযুক্ত বলেন, আলমাসের নামে আগেও নানা অভিযোগ ছিল এবং একটি তদন্ত চলছিল। সেদিন সিনিয়রদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হলে তারা ‘সবার ক্ষোভের কারণেই’ আলমাসকে ধাক্কাধাক্কি করেন বলে দাবি করেন।
চবি সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ কানন জানান, ঘটনার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অবগত। তবে কোনো পক্ষ এখনও লিখিত অভিযোগ জমা দেয়নি। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
