

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


স্বতন্ত্র চাকরি-বিধিমালা প্রণয়ন না হওয়ায় শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে মেট্রো চলাচল বন্ধ ঘোষণাসহ সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) নিয়মিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তাঁদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যাত্রীসেবা বন্ধের পাশাপাশি প্রতিদিন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিও চলবে।
ঘোষণা দেওয়ার পর আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ। তিনি দাবি বাস্তবায়নে আরও সময় চাইলে কর্মীরা তাতে রাজি হননি। বরং তাঁরা এমডিকে তার কক্ষে ঘিরে রেখে অবস্থান নেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি সেখানে আটকে ছিলেন বলে জানা যায়।
আন্দোলনকারীরা জানান, ডিএমটিসিএল প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় পার হলেও প্রায় এক হাজার কর্মীর জন্য আলাদা চাকরি-বিধিমালা এখনো কার্যকর হয়নি। ২০২২ সালে মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর থেকে দায়িত্ব পালন করলেও ছুটি, সিপিএফ, গ্র্যাচুইটি, শিফট-অ্যালাউন্স, ওভারটাইম ও গ্রুপ ইনস্যুরেন্স–এসব মৌলিক সুবিধা তাঁদের কাছে স্পষ্ট নয় বা প্রাপ্তি নিশ্চিত নয় বলে অভিযোগ তুলেছেন কর্মচারীরা।
তাঁরা আরও জানান, গত সেপ্টেম্বর উপদেষ্টা কমিটির নির্দেশে ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে সার্ভিস রুল সম্পন্ন করার কথা বলা হলেও তা বাস্তবে হয়নি। পরবর্তী সময়ে আন্দোলন করলে মার্চের মধ্যে বিধিমালা প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা কার্যকর হয়নি। টানা অবহেলা ও বিলম্বে কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে থাকে।
সম্প্রতি ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, বেশিরভাগ ধারা নিয়ে বোর্ড একমত হলেও “বিশেষ বিধান” শীর্ষক অধ্যায় একটি বড় বাধা। কর্মীদের মতে, এই অধ্যায়ে প্রকল্পের জনবলকে ডিএমটিসিএলে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয় রয়েছে, যা প্রচলিত আইন ও আদালতের রায়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তাঁদের দাবি, বোর্ড এই অংশ বাদ দিতে চাইলে ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষের চাপে তা আটকে আছে।
কর্মচারীরা বলেন, যাত্রীদের অসুবিধা সৃষ্টি হলে তার দায়ভার কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে—তাঁরা বাধ্য হয়ে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন। চাকরি-বিধিমালা ছাড়া ভবিষ্যৎ, পদোন্নতি, বেতন ও সুবিধা নিশ্চিতে কোনো বিশ্বস্ত সমাধান নেই বলে তাঁরা মনে করেন।
অন্যদিকে, মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে—নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী ট্রেন চলাচল অব্যাহত রাখার প্রস্তুতি তাঁদের রয়েছে।
মন্তব্য করুন

