

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


জামায়াতে ইসলামী ঐতিহ্যগতভাবে শৃঙ্খলাবদ্ধ রাজনৈতিক দল হলেও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মনোনয়নকে ঘিরে বিরোধ তৈরি হয়েছে।
২ টি আসনে প্রকাশ্য বিক্ষোভ এবং ২ আসনে নীরব টানাপোড়েন লক্ষ্য করা গেছে।
ময়মনসিংহ-৬, পাবনা-৫, কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) ও নরসিংদী-৫ আসনে মনোনয়ন নিয়ে প্রকাশ্য বিক্ষোভ, লাঞ্ছনা এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
ময়মনসিংহ-৬ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী অধ্যক্ষ কামরুল হাসান মিলনের বিরুদ্ধে একাংশের বিক্ষোভের সময় কয়েকজন সিনিয়র রুকনের শারীরিক লাঞ্ছনার অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক জেলা আমির অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের সব সাংগঠনিক দায়িত্ব স্থগিত করা হয়।
কুমিল্লা-চান্দিনায় সম্ভাব্য প্রার্থী মাওলানা মোশাররফ হোসেনকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হন বিক্ষুব্ধ কর্মীরা। প্রার্থীকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করা হয়।
পাবনা-৫ আসনে মাওলানা ইকবাল হোসেনের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের একাংশ ক্ষুব্ধ। নরসিংদী-৫ আসনে স্থানীয় আপত্তির কারণে মনোনয়ন আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।
নীরব অসন্তোষও দেখা গেছে। সিলেট-৫, কুষ্টিয়া-৩, চট্টগ্রাম-১৫ এবং গাজীপুর-৬ আসনে মনোনয়ন নিয়ে অস্বস্তি বিরাজ করছে।
কিছু ক্ষেত্রে স্থানীয় নেতৃত্ব মনে করছেন, কেন্দ্র থেকে চাপিয়ে দেওয়া প্রার্থী নির্বাচনে ঝুঁকি বাড়াচ্ছেন।
জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ তাহের বলেন, “কিছু সমর্থকের অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করে। তবে রুকন পর্যায়ে কেউ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেনি। কেন্দ্রীয়ভাবে তদন্ত চলছে, প্রয়োজন হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মন্তব্য করুন
