

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্যের সংঘর্ষে অন্তত ১২ নেতাকর্মী ও সমর্থকের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনা শুক্রবার সন্ধ্যায় সুলতানপুর ও বের কালোয়া গ্রামে ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়া ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল।
৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি বকুল বিশ্বাস ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি রাশিদুল ইসলামের অনুসারীরা পদ্মা নদী ও কালোয়া বাজার এলাকায় আধিপত্য নিয়ে উত্তেজনা তৈরি করছিল। ১ নভেম্বরের সংঘর্ষে দুইজন আহত হন।
ঘটনার পর পাল্টাপাল্টি মামলা হয়। এরপর শুক্রবার সন্ধ্যায় বকুল বিশ্বাসের পক্ষের লোকজন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কিছু নেতার সহযোগিতায় রাশিদুল ইসলামের অনুসারীদের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে ১২টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র ও গবাদিপশুসহ প্রায় ৪০ লাখ টাকার সম্পদ লুট হয়।
ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে কয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও যুবদল নেতা সালমান এফ রহমান, ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রাশিদুল ইসলামসহ অনেকে রয়েছেন।
সালমানের পরিবার জানিয়েছে, হামলাকারীরা বাড়ির জানালা-দরজা ভেঙে নগদ টাকা, স্বর্ণ ও দুটি গরু লুট করেছে।
বকুল বিশ্বাস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, রাশিদুল ও সালমান এলাকায় চাঁদাবাজি ও অশান্তি সৃষ্টি করেছেন এবং হামলা তারা আগে চালিয়েছে। তবে রাশিদুল ইসলাম দাবি করেন, বিএনপি নেতা বকুল মেম্বার আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী ব্যবহার করে তাদের ১২টি বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন। এতে প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে এবং এক মাসে তিন দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।
কুমারখালী থানার ওসি খন্দকার জিয়াউর রহমান বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক পক্ষের লোকজন আরেক পক্ষের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১ নভেম্বরের ঘটনায় মামলা হয়েছে, তবে প্রতিপক্ষ এজাহার দিতে দেরি করায় তা এখনও নথিভুক্ত হয়নি। দ্রুতই মামলা নথিভুক্ত করা হবে।
মন্তব্য করুন
