

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইতিহাসে একটি ব্যতিক্রমী নজির স্থাপন করেছেন। তিনি যেসব আসন থেকে নির্বাচন করেছেন, প্রতিটিতেই বিজয় অর্জন করেছেন—এ পর্যন্ত কোনো আসনে তাকে পরাজয়ের মুখ দেখতে হয়নি।
১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রতিবারই একাধিক আসনে প্রার্থী হন এবং প্রতিটি আসনেই জয় লাভ করেন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে তিনি পাঁচটি করে আসনে এবং ২০০১ সালেও পাঁচটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এছাড়া ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি তিনটি আসন থেকে নির্বাচন করে তিনটিতেই বিজয়ী হন।
১৯৯১ সালের নির্বাচনে তিনি বগুড়া-৭, ঢাকা-৫, ঢাকা-৯, ফেনী-১ ও চট্টগ্রাম-৮ আসনে প্রার্থী হন। পাঁচটি আসনেই জয়ী হয়ে শেষ পর্যন্ত তিনি ফেনী-১ আসনটি রেখে অন্য চারটি আসন ছেড়ে দেন।
১৯৯৬ সালে তার নির্বাচনী আসনগুলো ছিল বগুড়া-৬, বগুড়া-৭, ফেনী-১, লক্ষ্মীপুর-২ এবং চট্টগ্রাম-১। সবগুলোতেই জয় পাওয়ার পর তিনি ফেনী-১ আসনটি নিজের প্রতিনিধিত্বের জন্য নির্বাচন করেন।
২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি আবারও বগুড়া-৬, বগুড়া-৭, ফেনী-১, লক্ষ্মীপুর-২ ও চট্টগ্রাম-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। পাঁচটি আসনেই বিজয় অর্জনের পর তিনি বগুড়া-৬ আসনটি ধরে রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি বগুড়া-৬, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১—এই তিনটি আসন থেকে নির্বাচন করেন এবং তিনটিতেই জয়ী হন। সে সময় তিনি ফেনী-১ আসনটি রাখেন।
তার নির্বাচনী ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বগুড়া, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের আসনগুলোতেই তিনি সবচেয়ে বেশি নির্বাচন করেছেন। এছাড়া ১৯৯১ সালে ঢাকা এবং ২০০১ সালে খুলনার একটি আসন থেকেও তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
নির্বাচনী ফলাফলে শুধু জয় নয়, অনেক ক্ষেত্রেই তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে ভোটের ব্যবধান ছিল উল্লেখযোগ্য, যা তার রাজনৈতিক জনপ্রিয়তার প্রমাণ দেয়।
ক্ষমতায় থাকাকালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন সরকার শিক্ষা খাতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর মধ্যে রয়েছে বাধ্যতামূলক বিনামূল্যে প্রাথমিক শিক্ষা, মেয়েদের জন্য দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিনা খরচে পড়াশোনার সুযোগ, ছাত্রীদের উপবৃত্তি প্রদান এবং শিক্ষা কার্যক্রমে খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি। পাশাপাশি সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ২৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩০ বছর করা হয় এবং শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বাজেট বরাদ্দ দিয়ে এ খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়।
মন্তব্য করুন

