শুক্রবার
২১ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শুক্রবার
২১ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ, আলোচনায় তিন মুখ

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৫০ পিএম
গ্রাফিক্স : এনপিবি
expand
গ্রাফিক্স : এনপিবি

কার্যক্রম স্থগিত থাকা আওয়ামী লীগের চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঘোষিত মৃত্যুদণ্ডের রায় দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন প্রশ্ন তুলেছে, দলটি এখন কীভাবে এগোবে এবং কারা ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেবেন।

দলীয় সমর্থক থেকে শুরু করে গবেষক ও বিশ্লেষকরা—সবার আলোচনাই এখন নেতৃত্বের পুনর্গঠন নিয়ে।

বিশ্লেষকদের মতে, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রায় আইনগত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই এসেছে।

যদিও তিনি ভারতে অবস্থান করায় রায় বাস্তবায়ন জটিল হবে, তবুও বাস্তবতায় তার নেতৃত্বে দলের আগের মতো সক্রিয় থাকা কঠিন। অনেকেই বিষয়টিকে রাজনৈতিক অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হিসেবেও দেখছেন।

ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ (আইসিজি) এক বিবৃতিতে বলেছে, শেখ হাসিনার দেশের রাজনীতিতে ফিরে আসার সম্ভাবনা এখন অত্যন্ত ক্ষীণ, এবং তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের পুনরায় রাজনৈতিক ময়দানে দাঁড়ানো আরও কঠিন হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত, দলটি টেকসইভাবে টিকে থাকতে চাইলে অতীতের ভুলের দায় স্বীকার করে নতুন ভাবমূর্তির নেতৃত্ব সামনে আনতে হবে। রাজনৈতিক সমঝোতা ও পুনর্মিলনের পথ ধরেই দলটি পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে।

এর আগে অক্টোবর মাসে রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা নিজেও বলেছিলেন—দেশের ভাগ্য কোনো ব্যক্তি বা পরিবারের হাতে থাকা উচিত নয়; সাংবিধানিক কাঠামোই রাষ্ট্র পরিচালনার মূল ভিত্তি।

সম্ভাব্য নেতৃত্বে তিন নাম বেশি আলোচিত

দলের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে যেসব নাম রাজনৈতিক অঙ্গনে সবচেয়ে বেশি ঘোরাফেরা করছে, তার মধ্যে প্রথমেই উঠে আসে সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর নাম।

৫ আগস্টের পর তিনি প্রকাশ্যে অনুপস্থিত থাকলেও, বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, তিনি এখনও সরকারি নজরদারির আওতায় আছেন। সংবিধান অনুযায়ী ভবিষ্যতে সংসদ গঠনের প্রক্রিয়ায় তার ভূমিকা প্রয়োজন হতে পারে বলেও আলোচনায় রয়েছে।

তার পরের অবস্থানে আছেন দুই আলোচিত নেতা, সাবের হোসেন চৌধুরী এবং নারায়ণগঞ্জের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী।

আইভী বর্তমানে কারাগারে থাকলেও কয়েকটি মামলায় জামিন পেয়েছেন। তবে নতুন করে চারটি হত্যা মামলাসহ পাঁচ মামলায় তাকে আবারও শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে।

সাবের হোসেন চৌধুরী গ্রেফতারের পর জামিনে মুক্তি পেলেও এখন রাজনীতিতে প্রায় নিষ্ক্রিয়।

কোনো সভা-সমাবেশে তিনি অংশ নিচ্ছেন না, জনসমক্ষে মন্তব্যও দিচ্ছেন না। তবে তার বাসায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের তিন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সাম্প্রতিক বৈঠকটি রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন