

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


আগামীকাল সোমবার ঘোষিত লকডাউনকে কেন্দ্র করে রংপুর নগরীতে চাপে পড়েছে যান চলাচল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লকডাউনের আহ্বান জানানো হলেও মাঠপর্যায়ে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি।
হোটেল ব্যবসায়ীরা বলেন, শহরে লকডাউনের কোনো দৃশ্যমান প্রভাব নেই। স্বাভাবিকভাবেই ব্যবসা চলছে। লকডাউনের আহ্বান জানানো হলেও সংশ্লিষ্ট নেতাকর্মীদের দেখা যাচ্ছে না।
অটোচালকরা জানান, লকডাউন নয়, বরং যানজটের কারণে দীর্ঘ সময় সড়কে আটকে থাকতে হচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যস্ত। লকডাউন সংক্রান্ত তথ্য কেবল মানুষের মুখেই শোনা যাচ্ছে, বাস্তবে কোনো কার্যকর অবস্থা দেখা যাচ্ছে না। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন দলীয় সমর্থকদের ছোটখাটো মিছিল চোখে পড়েছে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বলেন, ঘোষিত লকডাউন ঘিরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে তাদের নেতাকর্মীরা মাঠে আছেন এবং যেকোনো বিশৃঙ্খলা প্রতিহত করতে প্রস্তুত।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা এনামুল হক জানান, যেকোনো অস্থিরতা সৃষ্টির প্রচেষ্টা কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে এবং প্রশাসনকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
পীরগঞ্জ থানার ওসি বলেন, বদরগঞ্জ থানার ওসি আতিকুর রহমান আতিক এবং রংপুর মেট্রো কোতোয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, লকডাউনকে কেন্দ্র করে কোনো বিশৃঙ্খলার তথ্য পাওয়া যায়নি। বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে টহল দিচ্ছে।
রংপুর জেলা পুলিশ সুপার জানান, বিভিন্ন থানায় নাশকতা ও রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতার অভিযোগে চারটি মামলা করা হয়েছে এবং এতে ২০ জনের বেশি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১৩ নভেম্বর থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জানান, নগরজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় ছয়টি থানায় ১৫ জনের বেশি রাজনৈতিক কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকারি দপ্তর, আদালত ও হাসপাতাল এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রাখা হয়েছে এবং যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি রোধে পুলিশ সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে।
মন্তব্য করুন
