শনিবার
২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শনিবার
২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাদিকে হত্যা করা শক্তির হাতে দেশ ছেড়ে না দেওয়ার আহ্বান ইনকিলাব মঞ্চের

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩৫ এএম
শহীদ ওসমান হাদি
expand
শহীদ ওসমান হাদি

জুলাই বিপ্লবের অন্যতম সংগঠক শরিফ ওসমান হাদিকে যারা হত্যা করেছে, বাংলাদেশ যেন তাদের কবজায় না যায় এমন সতর্কবার্তা দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে চারটার দিকে সংগঠনটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, পরিকল্পিত ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে একটি গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল ও কার্যত অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করছে। তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করা। ইনকিলাব মঞ্চের মতে, ঐতিহাসিক বাস্তবতায় ‘৩২’ ও ‘৩৬’ এক নয় এই পার্থক্য জনগণকে বুঝতে হবে।

পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, আসন্ন ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি হলে কারা লাভবান হবে, তা জনগণের সচেতনভাবে বিবেচনা করা প্রয়োজন।

সংগঠনটির দাবি, আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশকে একটি নিয়ন্ত্রণহীন ও উগ্রপন্থী রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চলছে। এতে কোনো ইতিবাচক ফল আসবে না; বরং দীর্ঘমেয়াদে দেশ নতুন ধরনের নির্ভরশীলতার ফাঁদে পড়তে পারে বলে তারা সতর্ক করে।

ইনকিলাব মঞ্চ আরও জানায়, ওসমান হাদি তার রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের পুরো সময়ে সার্বভৌমত্ববিরোধী শক্তিকে চিহ্নিত করেছেন এবং তাদের মোকাবিলার কৌশলও তুলে ধরেছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, এই লড়াই দীর্ঘমেয়াদি এবং কয়েক দিনের মধ্যে অর্জন সম্ভব নয়। দেশকে স্থিতিশীল রাখতে সহিংসতা এড়িয়ে সরকারকে সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়।

এর কিছু সময় পর দেওয়া আরেকটি পোস্টে সংগঠনটি জানায়, হত্যাকারীরা যেখানেই লুকিয়ে থাকুক, তাদের বিচারের মুখোমুখি করতেই হবে। সহিংস পথ পরিহার করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ঘোষণাও দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট রোডে রিকশায় চলার সময় মোটরসাইকেলে আসা দুই ব্যক্তি শরিফ ওসমান হাদিকে অনুসরণ করে। একপর্যায়ে তার মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি চালিয়ে তারা পালিয়ে যায়।

গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর অবস্থার অবনতি হলে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।

হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ শুরু হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখনো সারাদেশে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

X