

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নির্বাচনি গণসংযোগে অংশ নিতে গিয়ে শুক্রবার দুপুরে গুলিবিদ্ধ হন ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তরুণ রাজনীতিক শরিফ ওসমান হাদি।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। চিকিৎসকদের একটি দল তাঁর অস্ত্রোপচারে কাজ করছে।
হাদির এই সংকটময় অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে দোয়া, প্রার্থনা ও আবেগঘন বার্তা।
দেশের নানা স্তরের মানুষ তাঁর দ্রুত সুস্থতার কামনা করছেন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের জোর দাবি জানাচ্ছেন।
তরুণ আলেম শায়খ আহমাদুল্লাহ মন্তব্য করেন, “একজন উদ্যমী তরুণ রাজনীতিককে এমনভাবে টার্গেট করা অত্যন্ত দুঃখজনক। আল্লাহ তাকে সুস্থতা দান করুন।”
অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব সবাইকে হাদির জন্য দোয়া করতে অনুরোধ করে বলেন, “নির্বাচনের তফসিলের পরপর এমন হামলা উদ্বেগজনক। অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।”
হাদির ব্যক্তিগত স্মৃতি স্মরণ করে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ডা. আসিফ সৈকত আবেগঘন পোস্ট দিয়ে লেখেন- “হাদির সঙ্গে অনেক কথা হয়েছে। ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, তবু সে আমাকে আবারও যোগাযোগ করিয়েছিল।
আজ মনে হচ্ছে নিজের ভুলেই তাকে অভিমানী করে রেখেছিলাম। আল্লাহ তাকে সন্তানের জন্য হলেও ফিরিয়ে দিন।”
জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত অ্যাক্টিভিস্ট ইমরুল হাসান লেখেন, “হাদিকে আঘাত মানে জুলাইয়ের চেতনায় আঘাত। এটি স্পষ্ট বার্তা যে অন্যায়কে চ্যালেঞ্জ করা এখনও ঝুঁকিপূর্ণ।”
প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন বলেন, “এই দৃশ্য আমাদের হৃদয় ভেঙে দিচ্ছে। আল্লাহ তাকে সুস্থ করুন।”
তরুণ আলেম মনযূরুল হক অভিযোগ করেন, “দিনের পর দিন হুমকি পাওয়ার পরও তার নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা ছিল না—এর দায় সরকার এড়াতে পারে না।”
ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক যুবাইর বিন নেছারী অনুরোধ করেন, “হাদি ভাইয়ের জন্য সবাই দোয়া করুন। তিনি এখন ঢামেকের জরুরি বিভাগে।”
এনসিপি নেতা সারজিস লেখেন, “হাদির ওপর আঘাত মানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো তরুণদের ওপর আঘাত। আল্লাহ তাকে হেফাজত করুন।”
সাংবাদিক হাসান আদিল সিদ্দিকী আরও কঠোর ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “হাদি যে সংগ্রামের পথ বেছে নিয়েছিলেন- সেই পথেই তাকে স্তব্ধ করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু এই দেশে সত্যকে দমন করে রাখা যাবে না।”
হাদিকে দেখতে গিয়ে এনসিপি নেতা ও জুলাই আন্দোলনের কর্মী হাসনাত আবদুল্লাহ কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং দ্রুত তদন্ত–গ্রেফতারের দাবি জানান।
নুর মোহাম্মদ প্রার্থনায় বলেন, “হে সৃষ্টিকর্তা, আমাদের ভাইকে সুস্থ করে দিন, তাকে নিরাপত্তার আবরণে রাখুন।”
ওয়ালিদ হোসাইন সবুজ লিখেছেন, “যে জীবন মানুষের জন্য লড়ে—সেই জীবন কখনও পরাজিত হয় না। হাদি ভাই, আপনাকে ফিরে আসতেই হবে।”
মো. আব্দুল্লাহ পোস্ট করেন, “তফসিল ঘোষণার একদিন পরই জুলাইয়ের অন্যতম নেতৃত্ব আক্রান্ত হলো। আমরা দোয়া করছি- আল্লাহ তাকে সুস্থ করুন এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠা করুন।”
মুসতাকিন মিয়া মন্তব্য করেন, “সত্যের পথে হাদির মতো সাহসী কণ্ঠকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে না। আল্লাহ তাকে সব অন্যায় থেকে রক্ষা করুন।”
মন্তব্য করুন

