

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


দিল্লির পর এবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনকে ঘিরে বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে ময়মনসিংহে দীপু চন্দ্র দাস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে ডেপুটি হাইকমিশনের দিকে অগ্রসর হলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে একাধিক দফায় ধাক্কাধাক্কি ও সংঘর্ষ ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সকাল ১১টার দিকে মিছিলটি শুরু হলে নিরাপত্তা বাহিনী তিন স্তরের ব্যারিকেড বসিয়ে পথ রোধের চেষ্টা করে। উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা প্রথম ব্যারিকেড অতিক্রম করতে সক্ষম হলেও দ্বিতীয় ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টার সময় পুলিশ কঠোর অবস্থান নেয়। শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের দূতাবাস এলাকা থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে আটকে রাখা হয়।
ঘটনার পর কলকাতার বঙ্গবন্ধু সরণি ও আশপাশের এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য, জলকামানসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এর আগে শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের ভিসা কেন্দ্রে হামলার ঘটনার পর থেকেই কলকাতায় বাড়তি সতর্কতা গ্রহণ করে পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসন। বর্তমানে ডেপুটি হাইকমিশনের মূল ফটক ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।
এদিকে, একই দিন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করে নয়াদিল্লি ও শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রাঙ্গণ ও আবাসস্থলের বাইরে সংঘটিত ঘটনা এবং ২২ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে ভিসা কেন্দ্রে হামলার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ মনে করে, কূটনৈতিক মিশনের ওপর এ ধরনের সহিংসতা শুধু নিরাপত্তা ঝুঁকিই তৈরি করে না, বরং দুই দেশের পারস্পরিক শ্রদ্ধা, শান্তি ও সহনশীলতার চেতনায় আঘাত হানে।
মন্তব্য করুন

