

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


শহীদ শরিফ ওসমান হাদি আগে থেকেই আশঙ্কা করেছিলেন যে তিনি রিকশায় চলাচলের সময় হামলার শিকার হতে পারেন। কিছুদিন আগে এক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন।
সাক্ষাৎকারে হাদি বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশে খুবই স্বল্প খরচে ‘কন্ট্রাক্ট কিলিং’ করানো সম্ভব। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, “আমি তো রিকশায়ই চলাফেরা করি। যে কোনো মাদকাসক্তকে কয়েক হাজার টাকা দিলেই আমাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যেতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের মিছিলে যারা অংশ নেয়, তাদের সবাই যে দলের কর্মী—এটা নয়। অল্প কিছু নেতা–কর্মী থাকলেও বাকি মানুষকে কয়েক হাজার টাকা দিয়ে অল্প সময়ের জন্য মিছিলে নামানো হয়। পরে যাকে ধরা যায়, তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
হাদি মনে করেন, সমাজ ও রাজনীতির পরিবর্তন নিয়ে যত আলোচনা–সমালোচনা বা টিভি প্রোগ্রামই হোক না কেন, কোনো বাস্তব পরিবর্তন আসবে না, যতদিন না দেশের মানুষের আর্থিক স্বচ্ছলতা নিশ্চিত হয়।
যতদিন না পর্যন্ত চরম দারিদ্র্য মানুষের মধ্য থেকে দূর হবে, ততদিন পর্যন্ত খুব ভালো রাষ্ট্র পাওয়া সম্ভব নয়। কারণ চরম দারিদ্র্য মানুষকে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অপরাধপ্রবণ হতে উদ্বুদ্ধ করে।
এর আগে, গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে চলন্ত ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা অবস্থায় পেছনে থেকে আসা মোটরসাইকেল থেকে হাদিকে গুলি করা হয়। মাথায় গুলিবিদ্ধ হাদিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সোমবার তাকে এয়ারঅ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে শরিফ ওসমান হাদি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আজ শনিবার বাদ জোহর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা শেষে শহীদ হাদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে সমাহিত করা হয়।
মন্তব্য করুন

