

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


‘সাধারণ একটা কফিনে হাসিমুখে আমি আমার আল্লাহর কাছে হাজির হবো’ বলে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি।
এরপর বিমানবন্দরে শহীদ হাদির লাশ গ্রহণ করেন- সরকারের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী, বশির আহমেদ ও ডা. সায়েদুর রহমান।
এছাড়া ছিলেন- আমার দেশ সম্পাক মাহমুদুর রহমান, বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ, মাহদী আমিন, জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, এনসিপির সদস্য সচিব আক্তার হোসেন, এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম, ইনকিলাব মঞ্চের বুরহান উদ্দিন ও জাবের।
একই সঙ্গে বোন-জামাই আমিরুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে, হাদির লাশের সঙ্গে সিঙ্গাপুর থেকে আসেন তার বড় ভাই আবু বকর।
এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন সাদিক কায়েম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ। তাদের চোখের পানি টপ টপ করে পড়ে হাদির কফিনের ওপর।
দেশি-বিদেশি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে টানা সাতদিনের লড়াই শেষে নিভে যায় তার প্রাণ।
লাল-সবুজের কফিনে নিথর দেহে বাংলাদেশে ফিরেন তিনি। কাল দাফনের আগে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বাদ জোহর তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
পরিবারের দাবির ভিত্তিতে শহিদ ওসমান হাদীকে কবি নজরুল এর পাশে সমাহিত করার এবং মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বাদ জোহর জানাজার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তার প্রেক্ষিতে আজকের পরিবর্তে আগামীকাল মিছিলসহ সেন্ট্রাল মসজিদে আনা হবে বলে জানানো হয়।
ছাত্রজনতা আজ ও আগামীকাল শৃঙ্খলার সঙ্গে আন্দোলন জারি রাখার আহ্বান জানায় ইনকিলাব মঞ্চ।
স্ট্যাটাসে বলা হয়, যেন কোনো গোষ্ঠী অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে আন্দোলন স্তিমিত করতে না পারে। একইসঙ্গে সহিংসতার সুযোগ ও না পায়। মরদেহ দেখার কোনো সুযোগ থাকবে না।
মন্তব্য করুন

