

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


আসছে ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে দেশের দলিল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে বড় ধরনের সংস্কার কার্যকর করতে চলেছে সরকার।
দীর্ঘদিন ধরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসগুলোর দালালচক্র, অতিরিক্ত ফি আদায় ও জটিল প্রক্রিয়াজনিত ভোগান্তি দূর করতেই ভূমি মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগ নিয়েছে।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, জমির প্রকৃতি ও দলিলের ধরনভেদে রেজিস্ট্রেশন ফি নির্ধারণ করে প্রতিটি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে তা দৃশ্যমানভাবে প্রদর্শন করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এতে জমির দলিল করতে মোট কত ব্যয় হবে স্ট্যাম্প, রেজিস্ট্রেশন ফি, আইটি চার্জসহ সব নাগরিকরা আগেই জানতে পারবেন।
সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল লেখকদের দীর্ঘদিনের মনোপলি ও অযৌক্তিক ফি আদায়ের অভিযোগ ছিল। অনেক সময় তারা নির্ধারিত খরচের তুলনায় অনেক বেশি টাকা দাবি করতেন এবং বাধা দিলে হয়রানির অভিযোগও ছিল।
এসব অনিয়ম ঠেকাতে দলিল লেখক লাইসেন্স বিধিমালা, ২০১৪ বাস্তবায়নে কঠোর হচ্ছে সরকার। এখন থেকে শুধুমাত্র লাইসেন্সধারী দলিল লেখকরাই অফিসে কাজ করতে পারবেন।
এছাড়া ফি গণনায় যেসব ভূমি মালিক বিভ্রান্ত হন, তাদের জন্য চালু করা হয়েছে অনলাইন “দলিল রেজিস্ট্রেশন ক্যালকুলেটর”। জমির শ্রেণী, মৌজা, অবস্থান ও পরিমাণ প্রবেশ করালে সিস্টেম নিজেই আনুমানিক ব্যয়ের হিসাব দেখিয়ে দেবে।
রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৯০৮ অনুযায়ী জমি ক্রয়-বিক্রয়ের দলিল নিবন্ধন বাধ্যতামূলক—এ বিষয়েও জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে, কারণ অনিবন্ধিত কাগজপত্র মালিকানার প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়।
যদি কোনো কর্মকর্তা বা দলিল লেখক অতিরিক্ত টাকা দাবি করেন বা অনিয়মে জড়ান, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলা রেজিস্ট্রারের কাছে লিখিত অভিযোগ বা দুদকে কল করে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ থাকছে।
সরকারের আশা, নতুন নীতিমালা কার্যকর হলে রেজিস্ট্রেশন খাতে স্বচ্ছতা বাড়বে, দালালচক্রের প্রভাব কমবে এবং ভূমি মালিকরা প্রতারণা থেকে সুরক্ষা পাবেন। এটি ভূমি ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন

