

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


দেশে ‘ভূমি ব্যবহার স্বত্ব আইন’ ও ‘ভূমি অপরাধ, প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন’ নামে দুটি নতুন আইন প্রণীত হতে যাচ্ছে, যা ভূমি খাতে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠা ও আইনগত নিয়ন্ত্রণ জোরদার করবে। নতুন আইন অনুযায়ী সাত ধরনের দলিল অকার্যকর হিসেবে গণ্য হবে।
বিশেষ করে রেজিস্ট্রি ছাড়া বা যথাযথ সিল–সাক্ষর এবং সরকারি ফি পরিশোধবিহীন কোনো দলিল আইনের দৃষ্টিতে বৈধ হিসেবে গ্রহণ করা হবে না।
জমি ক্রয়-বিক্রয়, হেবা বা দান, বন্ধক, উত্তরাধিকারসূত্রে বাটোয়ারা—সব ক্ষেত্রেই দলিল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে নিবন্ধন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য জমির সম্পূর্ণ বিবরণ, মালিকানার ইতিহাস, সীমানা, নকশা, দাতা-গ্রহীতার পরিচয় এবং প্রয়োজনীয় হলফনামা সংযুক্ত থাকতে হবে। পাশাপাশি রেজিস্ট্রি ফি, কর, ভ্যাট এবং আয়কর আইন অনুযায়ী পরিশোধ করতে হবে।
নতুন আইনে শুধু রেজিস্ট্রিবিহীন দলিলই বাতিল হবে না, বরং জাল খতিয়ান বা ভুয়া দলিল তৈরি করে অন্যের সম্পত্তি দখল করাও অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। যেমন—খাস জমি দখল করে জাল কাগজ তৈরি করলে তা বাতিল হবে। একইভাবে, প্রকৃত ওয়ারিশদের বঞ্চিত করে সম্পত্তি বিক্রি করাও অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
আইন প্রণয়নের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দ্রুত বিচার ও শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। জালিয়াতি, অবৈধ দখল ও প্রতারণার ক্ষেত্রে শাস্তি হিসেবে ধরা হয়েছে তিন মাস থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড।
নতুন আইন নিশ্চিত করবে যে, জমির বৈধতা, স্বচ্ছতা ও জনগণের অধিকার রক্ষিত থাকবে। এতে প্রতারণা ও জালিয়াতির সুযোগ প্রায়শই শূন্যে নামানো সম্ভব হবে।
মন্তব্য করুন
