

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
সূত্র জানায়, আজ মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রায়ের কপি উভয় মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি, রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের কাছে কেন্দ্রীয় কারাগারেও রায়ের কপি পৌঁছে দেওয়া হবে।
এর আগে সোমবার (১৭ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
রাজসাক্ষী হিসেবে স্বীকারোক্তি দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রায়ে ট্রাইব্যুনাল উল্লেখ করেছে, তিন আসামির অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। বিশেষ করে দুটি অভিযোগে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালকেও একইভাবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনাল জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম মামলা দায়ের করে।
নতুন ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রম শুরু হয় গত বছরের ১৭ অক্টোবর। একই দিনে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
মামলায় শেখ হাসিনার সঙ্গে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল ও সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুনও আসামি ছিলেন। মামুন দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলায় মোট পাঁচটি মানবতাবিরোধী অভিযোগ আনা হয়, যার মধ্যে রয়েছে: উসকানি, মারণাস্ত্র ব্যবহার, আবু সাঈদ হত্যা, চানখারপুলে হত্যা এবং আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো। ৮৪ সাক্ষীর মধ্যে ৫৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় চলতি বছরের ৩ আগস্ট, প্রথম সাক্ষী হিসেবে খোকন চন্দ্র বর্মণ জুলাই-আগস্টের বীভৎস পরিস্থিতি তুলে ধরেন। ৮ অক্টোবর পর্যন্ত প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরের জেরার মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
এরপর ২৩ অক্টোবর প্রসিকিউশন ও ডিফেন্স আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয় এবং ১৭ নভেম্বর রায় ঘোষণার দিন নির্ধারিত হয়।
মন্তব্য করুন
