

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুজিবুর রহমান ওরফে নিক্সন চৌধুরীকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানায় হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজাদুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় প্রধান আসামি নিক্সন চৌধুরী ভাঙ্গা সদরপুর ও চরভদ্রাসন নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
মামলায় ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও অনেককে আসামি করা হয়। এই মামলার ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে- হামিরদী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খোকন মিয়াকে। এছাড়া থানায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে আলগী ইউপি চেয়ারম্যানকে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. শামছুল আজম বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন (ইসি) এক গেজেটে ভাঙ্গা সদরপুর চরভদ্রাসন নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-৪ আসনের অধীন ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন কেটে নগরকান্দা ও সালথা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-২ আসনে জুড়ে দেয়। এর প্রতিবাদে গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রথমে ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে ভাঙ্গাবাসী।
তবে ওইদিন বিকেলে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমানের আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা তিনদিনের জন্য কর্মসূচি স্থগিত করেন। সোমবারের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে এবং তিনদিন পরে মঙ্গলবার থেকে আন্দোলন করবেন বলে জানান।
আন্দোলনকারীরা মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার (৯-১১ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত টানা তিনদিন সকাল সন্ধ্যা অবরোধ পালন করে। শুক্র-শনিবার বাদ দিয়ে গত রোববার (১৪-১৬ সেপ্টেম্বর) থেকে আবার টানা তিনদিন অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা দেয়।
গত রোববার তৃতীয় দফা কর্মসূচি প্রথম দিনে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশাপাশি রাজবাড়ী-ভাঙ্গা ও ঢাকা-খুলনা রেলপথ অবরোধ করে। ফলে ভাঙ্গার হামিরদী ও ভাঙ্গা জংশন ও রাজবাড়ীতে তিনটি ট্রেন আটকা পড়ে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি সম্মুখীন হতে হয়।
উত্তেজনাপূর্ণ এমন পরিস্থিতিতে গত রোববার দুপুরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কঠোরভাবে আন্দোলন দমন করার ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) আলগী এবং হামিরদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১৫০ জনকে অজ্ঞতানামা আসামি দেখিয়ে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করা হয় ভাঙ্গা থানায়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় আলগী ইউপির চেয়ারম্যান ম ম সিদ্দিককে।
এর প্রেক্ষাপটে গত সোমবার তৃতীয় দফা অবরোধের দ্বিতীয় দিনে ভাঙ্গা থানা, উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স, ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা বিভিন্ন সরকারি কার্যালয় ব্যাপক হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ সহিংস ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল হাসান মোল্যা বলেন, গত সোমবার ভাঙ্গা উপজেলা কমপ্লেক্সের যে সহিংস ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    