সোমবার
২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সোমবার
২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৬ শ্রেণির জমি বিক্রয় সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৫ পিএম
সংগৃহীত ছবি
expand
সংগৃহীত ছবি

সম্পূর্ণ ভূমি সেবা এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে একীভূত হওয়ায় সাধারণ ভূমি মালিকদের জন্য স্বচ্ছতা ও সুবিধা বেড়েছে। তবে এ সুবিধার পাশাপাশি কিছু ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ শ্রেণির জমির মালিকদের ওপর আরোপ করা হয়েছে কঠোর নিষেধাজ্ঞা।

ডিজিটাল ভূমি সেবার আওতায় বর্তমানে মোট ৬ ধরনের জমি বিক্রি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিয়ম ভঙ্গ করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

নিষিদ্ধ ঘোষিত ৬ শ্রেণির জমি:

১. এজমালি (অবিভক্ত) সম্পত্তি:

যেসব জমিতে একাধিক ওয়ারিশের মালিকানা রয়েছে, সেগুলো এককভাবে কেউ বিক্রি করতে পারবেন না। সকল মালিক একমত না হলে বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে বাটোয়ারা (বিভাজন) দলিল থাকলে, নিজ অংশ বিক্রি করা যাবে।

২. জাল রেকর্ডভিত্তিক মালিকানা:

যারা অতীতে জাল রেকর্ডের মাধ্যমে প্রতারণাপূর্ণভাবে জমির মালিকানা অর্জন করেছেন, তারা সেই জমি বিক্রি করতে পারবেন না। সাব-রেজিস্ট্রার অফিস থেকে যাচাই করে তাৎক্ষণিকভাবে রেজিস্ট্রেশন বাতিল এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

৩. জাল নামজারিভিত্তিক মালিকানা:

ভুয়া দলিল বা নামজারি তৈরি করে যারা জমির মালিকানা দাবি করেছেন, তাদের শনাক্ত করে ডিজিটাল সিস্টেমের মাধ্যমে তাদের বিক্রির ক্ষমতা রুদ্ধ করা হবে।

৪. ভুয়া দাখিলাভিত্তিক মালিকানা:

দাখিলা জালিয়াতির মাধ্যমে যারা জমি দখল করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বিক্রির চেষ্টায় ধরা পড়লেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৫. জবরদখলের মাধ্যমে দখলকৃত জমি:

জোরপূর্বক জমি দখল করে যাঁরা নিজেকে মালিক দাবি করছেন, তারা আর সেই জমি বিক্রি করতে পারবেন না। ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ আইন, ২০২৩ অনুযায়ী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

৬. খাস জমি:

সরকারি খাস জমি যাদের ৯৯ বছরের জন্য বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে, তারা ওই জমি বিক্রি করতে পারবেন না। বিক্রির চেষ্টা করলে তা অবৈধ বলে গণ্য হবে এবং বিক্রেতা ও ক্রেতা উভয়ই আইনের আওতায় পড়বেন।

ডিজিটালাইজেশনের উদ্দেশ্য:

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল লক্ষ্য হলো, “ভূমি সেবা নাগরিকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া এবং হয়রানিমুক্ত ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ভূমি মালিকানা নিশ্চিত করা।” এই লক্ষ্যে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার বাকি অংশ বাস্তবায়নের জন্য।

জমি ক্রয়ের আগে অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে মালিকানা বৈধ কি না। কারণ এখন সব তথ্য এক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত, ফলে জালিয়াতি বা অবৈধ মালিকানা লুকানো প্রায় অসম্ভব। সতর্ক না হলে প্রতারণার শিকার হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

X