

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বাংলাদেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। সরকারি সেবা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্পসহ প্রায় সব ক্ষেত্রে স্মার্ট প্রযুক্তির উপস্থিতি আগের চেয়ে অনেক বেশি দৃশ্যমান।
ফলে কাজের দক্ষতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও দৈনন্দিন জীবনযাপন আরও সহজ হচ্ছে।
টেলিনর এশিয়ার নতুন জরিপ রিপোর্ট ‘ডিজিটাল লাইভস ডিকোডেড ২০২৫: বিল্ডিং ট্রাস্ট ইন বাংলাদেশ’স এআই ফিউচার’–এ দেখা গেছে, দেশের ৯৬ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এখন নিয়মিত এআই-ভিত্তিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেন।
গত বছর এই হার ছিল ৮৮ শতাংশ— অর্থাৎ এক বছরে ব্যবহারের হার বেড়েছে আরও ৮ শতাংশ। জরিপটি দেশের এক হাজার ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ওপর পরিচালিত হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্মার্টফোনই দেশে এআই ব্যবহারের মূল বাহক হিসেবে কাজ করছে।
অনলাইন শিক্ষা (৬২%), দূরবর্তী কাজ (৫৪%) এবং ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনা (৫০%)- এসব ক্ষেত্রে এআই ও মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহার সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে।
গত এক বছরে দূরবর্তী কর্মপরিবেশে মোবাইল ব্যবহারের হার বেড়েছে ৩৯ শতাংশ এবং বাজেট ও ব্যয় ব্যবস্থাপনায় বেড়েছে ৩৬ শতাংশ।
দ্রুত ও নির্ভুল পরিকল্পনা ও বিশ্লেষণের সুবিধার কারণে এআইয়ের ওপর নির্ভরতা বাড়ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
দেশে প্রতিদিনের জীবনে এআই ব্যবহার এখন খুবই সাধারণ- কনটেন্ট তৈরি, পড়াশোনা, স্বাস্থ্য উপদেশ, আর্থিক সেবা গ্রহণ, ভ্রমণ পরিকল্পনা- প্রায় সব ক্ষেত্রেই এর ব্যবহার বেড়েছে।
কর্মক্ষেত্রে এআই ব্যবহারের হার ২০২৪ সালের ৪৪ শতাংশ থেকে ২০২৫ সালে ৬২ শতাংশে পৌঁছেছে।
তবে এর মধ্যে অর্ধেকেরও কম কর্মী জানিয়েছেন যে তাদের প্রতিষ্ঠানে এআই ব্যবহারের জন্য আনুষ্ঠানিক নীতিমালা আছে- যা নৈতিক ও দায়িত্বশীল ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঘাটতির ইঙ্গিত দেয়।
অন্যদিকে, অফিসের দৈনন্দিন প্রশাসনিক কাজে এআই ব্যবহারের হার এখনো কম- মাত্র ২৮ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্মীদের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এ ক্ষেত্রে আরও অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।
তরুণরা প্রযুক্তি ব্যবহারে সবচেয়ে স্বচ্ছন্দ হলেও এআই-নির্ভরতা, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা এবং ভবিষ্যৎ চাকরি নিয়ে তাদের মধ্যে উদ্বেগও রয়েছে। তারা নিরাপদ এবং সুশাসিত এআই ব্যবহারের পরিবেশ প্রত্যাশা করে।
টেলিনর এশিয়ার প্রধান ইওন ওমুন্ড রেভহগ মন্তব্য করেছেন, এআই ব্যবহারে ব্যাপক অগ্রগতি দেখা গেলেও ডিজিটাল দক্ষতা, নিরাপত্তা এবং সবার জন্য সমান সংযোগ নিশ্চিত করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
প্রযুক্তিগত বৈষম্য কমিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তোলা জরুরি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
মন্তব্য করুন

