

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা যুগান্তকারী। কিন্তু এই সবুজ, জুসযুক্ত উদ্ভিদ শুধু ত্বকের জন্য নয়, ওজন নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অ্যালোভেরায় থাকা ভিটামিন বি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও এনজাইম শরীরের বিপাকক্রিয়া (Metabolism) বৃদ্ধি করে এবং চর্বি দহনে সাহায্য করে।
অ্যালোভেরা কীভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে
অ্যালোভেরায় উপস্থিত ‘অ্যালোইন’ (Aloin) নামের প্রাকৃতিক যৌগ শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সহায়তা করে। এটি সরাসরি চর্বি গলাতে না পারলেও ডিটক্স প্রক্রিয়া বাড়িয়ে দেয়, ফলে শরীর ক্যালোরি দ্রুত খরচ করতে সক্ষম হয়। নিয়মিত অ্যালোভেরা সেবনে হজম ভালো থাকে, কোষ্ঠকাঠিন্য কমে এবং শরীর হালকা থাকে- যা ওজন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ।
সকালে অ্যালোভেরা খাওয়ার সেরা সময় ও পদ্ধতি
খালি পেটে অ্যালোভেরা পানি:
সকালে ঘুম থেকে উঠে ৫০ মিলিলিটার অ্যালোভেরা রস একটি গ্লাস গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে শরীর ডিটক্স হয়, হজম ভালো থাকে এবং ওজন কমানো সহজ হয়।
মধু মিশিয়ে পান করুন:
অ্যালোভেরার তেতো স্বাদ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে পান করা সহজ হয়। এটি শরীরকে হাইড্রেট রাখে, ফ্যাট বার্নে সাহায্য করে এবং ত্বক উজ্জ্বল রাখে।
লেবুর পানি ও অ্যালোভেরা:
সকালে লেবুর পানির সঙ্গে এক চামচ অ্যালোভেরা রস মিশালে ফ্যাট বার্নিং আরও দ্রুত হয়।
খাওয়ার আগে অ্যালোভেরা রস:
খাবারের ২০ মিনিট আগে এক চামচ অ্যালোভেরা রস খেলে হজমের এনজাইম সক্রিয় হয় এবং খাবার দ্রুত হজম হয়।
সবজির রসের সঙ্গে মিশিয়ে:
লাউ, গাজর বা বিটের রসের সঙ্গে অ্যালোভেরা মিশিয়ে খেলে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বাড়ে, যা ওজন কমাতে সহায়ক।
সতর্কতা
এক দিনে ৫০ মিলিলিটার বেশি অ্যালোভেরা রস সেবন করবেন না। অতিরিক্ত সেবনে পেটব্যথা, ডায়রিয়া বা ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যহানি হতে পারে।
গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীরা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যালোভেরা রস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
স্মরণীয় বিষয়: ওজন কমানোর জন্য শুধু অ্যালোভেরার উপর নির্ভর করবেন না। স্বাস্থ্যকর খাবার, পর্যাপ্ত ঘুম এবং নিয়মিত ব্যায়ামের সঙ্গে এটি যুক্ত করলে ফল আরও দ্রুত এবং স্থায়ী হবে। নিয়মিত অ্যালোভেরা সেবনে ত্বক, চুল ও শরীরের স্বাস্থ্যও আরও উজ্জ্বল ও সুন্দর থাকে।
মন্তব্য করুন