

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


টলিউড অভিনেতা অম্বরীশ ভট্টাচার্যকে সাধারণত ইতিবাচক ও হাস্যরসাত্মক চরিত্রেই বেশি দেখা যায়। লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘শ্রীময়ী’, ‘খড়কুটো’, ‘গুড্ডি’ ও ‘রোশনাই’-এ তার চরিত্রগুলোও ছিল পুরোপুরি ইতিবাচক। কয়েকদিন বিরতির পর আবার ছোট পর্দায় ফিরেছেন তিনি— নতুন সিরিয়াল ‘চিরসখা’–তে ‘অয়নদীপ’ চরিত্রে।
চরিত্রটিতে রয়েছে দুষ্টুমি, জটিলতা আর রোমান্টিকতার সংমিশ্রণ। অম্বরীশের ভাষায়, লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের গড়া চরিত্রই তার কাছে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
অম্বরীশ বলেন, লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ধারাবাহিকে নায়ক-নায়িকা আসলে চিত্রনাট্য। অয়নদীপের চরিত্রটা তিনি অসাধারণভাবে সাজিয়েছেন। নেতিবাচক চরিত্র হলেও ধীরে ধীরে নতুন দিক ফুটে উঠছে। আমাকে নেগেটিভ চরিত্রে কাস্ট করতে অনেকে ভয় পান— তাই এই চরিত্রে অভিনয় করা আমার জন্য বড় সুযোগ। পরিচালক দিগন্ত সিন্হাকেও ধন্যবাদ, তিনি প্রতিটি দৃশ্য দারুণভাবে সাজান।
সিরিয়ালের গল্পে দেখা যায়— কমলিনীর ননদ কুর্চির স্বামী অয়নদীপ। তাদের দাম্পত্যে দীর্ঘদিন দূরত্ব থাকলেও এখন ধীরে ধীরে সম্পর্ক স্বাভাবিক হচ্ছে। নেতিবাচক অয়নদীপের মধ্যেও উঠে আসছে রোমান্টিক দিক।
ব্যক্তিগতভাবে কি তিনি রোমান্টিক?— হাসতে হাসতে অম্বরীশ বলেন, আমি ভীষণ রোমান্টিক মানুষ। হয়তো সেই কারণেই এখনও বিয়ে করিনি! মনে হয়, খুব রোমান্টিক মানুষরা বিয়ে করে ফেললে রোমান্স শেষ হয়ে যায়। তাই আমার রোমান্স চরিত্রগুলোর মধ্যেই বাঁচে।
সহ-অভিনেত্রী রাজন্যা মিত্রের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের কাজের সম্পর্ক রয়েছে। প্রায় ১০ বছর ধরে বিভিন্ন সিরিয়ালে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন তারা। দর্শকের কাছেও তাদের নতুন সমীকরণ নজর কেড়েছে।
অভিনেতা মনে করেন, তার অভিনয়জীবনে এক ধরনের চরিত্রেই আটকে দেওয়া হয়নি তাকে। বিভিন্ন স্বাদের চরিত্রে কাজ করতে পেরে তিনি সন্তুষ্ট। দর্শক এখন অপেক্ষায়— কুর্চি ও অয়নদীপের সম্পর্ক কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেটি দেখার।
মন্তব্য করুন

