

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


জুলাই সনদ ও আসন্ন গণভোটকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও মতবিরোধ বাড়ার মধ্যে জৈনপুরী পীর ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।
তিনি বলেন, বর্তমান গণভোট দেশের জন্য অশুভ সংকেত বহন করছে। এটি শুধু নির্বাচনের সময় পিছিয়ে দেওয়ার কৌশল নয়, বরং দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও সম্ভাব্য সংঘাতের পথও প্রসারিত করছে।
সম্প্রতি এক ধর্মীয় আলোচনায় তিনি বলেন, “গণভোটের মাধ্যমে দেশকে সামরিক শাসনের দিকে ঠেলা হচ্ছে। এতে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে, সন্ত্রাস ও সহিংসতার পরিস্থিতি বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের ক্ষতি হবে।”
ড. আব্বাসী আরও বলেন, যারা দেশকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে, তারা আবারও নানা রূপে বিষবিস্তার করবে। এই প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক স্বার্থও জড়িত, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের সুযোগ খুঁজছে।
ড. আব্বাসী উল্লেখ করেন, ১৯৭৭ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯ দফা দাবির মাধ্যমে গণভোট করিয়েছিলেন। তখন সংবিধানে ‘মহান আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস’ নীতিকে রাষ্ট্রের মৌলিক ভিত্তি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। পরে এই নীতি বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, যা মুসলমানদের ঈমানের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
ড. আব্বাসী বলেন, সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা দল সংবিধান পরিবর্তনের ক্ষমতা রাখে। গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত বিষয়ও পরবর্তীতে পরিবর্তন করা সম্ভব। তাই জনগণকে গণভোটের নামে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।
“প্রতিবার গণভোট বা সামরিক শাসনের পরে দেশ রাজনৈতিক সংকটে পড়ে। জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে এরশাদের পতন— প্রতিটি অধ্যায় প্রমাণ করে যে গণভোট স্থিতিশীলতা আনে না, বরং বিভাজন বাড়ায়।”
“বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের এখন মহান আল্লাহর ভয়ের কথা ভাবা উচিত। যারা সংবিধান থেকে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস বাদ দিতে চায়, তারা প্রকৃত অর্থে জাতির শত্রু। সংবিধানের মৌলিক নীতি হিসেবে আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত জরুরি।”
মন্তব্য করুন
