শনিবার
০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শনিবার
০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাকসুতে শিবির সমর্থিত প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনার ‘তোমার টাকার উৎস কী’

রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৩৪ এএম
ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের নাস্তা বাজেয়াপ্ত
expand
ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের নাস্তা বাজেয়াপ্ত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট-এ ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল 'সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট'-এর প্রায় ২০০ প্যাকেট নাস্তা বাজেয়াপ্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে, আচরণ বিধিতে নাস্তা বিতরণ অথবা খরচের সীমা উল্লেখ নেই।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বেগম খালেদা জিয়া হলের সামনে থেকে এসব খাবার বাজেয়াপ্ত করেন রাকসু নির্বাচন কমিশন।

নাস্তা বাজেয়াপ্ত করার পরপরই এর কারণ জানতে নির্বাচন কমিশন অফিসে যান শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারিসহ ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের পদপ্রার্থীরা।

বর্তমান আচরণ বিধি অনুযায়ী খাবার প্রদানের মাধ্যমে কোনো বিধি লঙ্ঘন হয়নি বলে দাবি রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মোজাহিদ ফয়সালের।

নির্বাচন কমিশনারদের সাথে আলোচনা রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মোজাহিদ ফয়সাল বলেন, আচরণ বিধিতে প্রার্থীদের সর্বোচ্চ ব্যয় সীমা উল্লেখ নাই। তার মানে আমি আমার সক্ষমতার আলোকে সর্বোচ্চ খরচ করতে পারি।

একজন নির্বাচন কমিশনার আমাদের প্রার্থীকে প্রশ্ন করেছেন, "তোমার টাকার উৎস কী?" আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশনার স্যার এমন প্রশ্ন করার এখতিয়ার রাখেন না। আর নাস্তা বিতরণতো শুধু আমরা না অনেক পদপ্রার্থীই নাস্তা বিতরণ করেছে। তাদের বেলায় নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা কামাল আকন্দ বলেন, তারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে। হাতেনাতে ধরার পর আমরা তাদের সতর্ক করেছি। আমরা কোনো মোবাইল কোর্ট না যে শাস্তি দিব। তবে আমাদের দায়িত্বের অংশ হিসেবে খাবারগুলো বাজেয়াপ্ত করেছি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ. নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা মনোনয়ন পত্র সংগ্রহের ফি ১ হাজার থেকে ২০০ টাকা করেছিলাম কী জন্য? ছাত্রদের (পদপ্রার্থীদের) যাতে কম খরচ হয় এজন্য আমরা কমিয়েছিলাম। এখন এতো এতো খরচ করা হলেতো বিষয়টা পরস্পর বিরোধী হয়ে যাবে।

আর প্রজেকশন মিটিং মানে পরিচিতি সভা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিচিতি সভা মানেতো এই না যে নাস্তা দিতে হবে। এখন কেউ এটা (খাবার বিতরণ) করতে পারবে না।

নাস্তাতো নির্বাচনের অংশ না। আচরণ বিধিতে খাবার বিতরণের বিষয়ে কিছু লেখা নাই। কিন্তু কিছু ইমপ্লাইড (অন্তর্নিহিত) অর্থতো বুঝতে হয়। আচরণ বিধিতে টাকা বিতরণের বিষয়েও কোনো কিছু লেখা নাই। কিন্তু এটা কি করা যাবে? যাবে নাতো।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন