

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ এবং সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন পেছানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। অন্যদিকে ক্যাম্পাসের বর্তমান অস্থিরতার প্রেক্ষিতে নির্বাচন স্থগিত হওয়াকে স্বাগত জানিয়েছে ছাত্রদল, বামঘরানার সংগঠন মনোনীত প্যানেল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাকসু নির্বাচন কমিশনের এক সভা শেষে জানানো হয়, ২৫ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত ভোটগ্রহণের নতুন তারিখ হবে ১৬ অক্টোবর। পোষ্য কোটা ইস্যুতে সৃষ্ট উত্তেজনার কারণে কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
ক্যাম্পাসের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে সোমবার বিকেল চারটার দিকে কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে জরুরি বৈঠকে বসে রাকসু নির্বাচন কমিশন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে দেরি হওয়ায় নির্ধারিত তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বরেই নির্বাচন করার দাবিতে সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটের দিকে কোষাধ্যক্ষের দফতরের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা।
একই সময়ে ‘ভোটারবিহীন রাকসু মেনে নেব না’ স্লোগান তুলে বামপন্থী সংগঠন মনোনীত প্যানেল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পাল্টা অবস্থান নেন। সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটের দিকে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় ছাত্রদল। পরে উভয় পক্ষ সামনাসামনি অবস্থান নিয়ে নানা স্লোগান দেয়।
অবশেষে রাত সাড়ে সাতটার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে রাকসু নির্বাচন ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে পিছিয়ে ১৬ অক্টোবর করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়।
এ খবর পেয়ে ছাত্রশিবির ক্ষোভ প্রকাশ করে ‘২৫ তারিখেই রাকসু, দিতে হবে, দিতে হবে’, ‘সিন্ডিকেটের কালো হাত, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’ বলে বিক্ষোভ শুরু করে।
অপরপক্ষ ‘ভুয়া, ভুয়া’ বলে উল্লাস শুরু করে। এরপর তারা সেখান থেকে সরে গিয়ে রাকসু ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। অন্যদিকে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে রাত পৌনে ৯টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আস্থার জায়গা হারিয়ে ফেলেছে। বারবার নির্বাচন পেছানোর যে অপরাজনীতি করছে, তা শিক্ষার্থীরা ৩৫ বছর থেকে দেখে দেখে বিরক্ত। আমরা ২৫ তারিখেই নির্বাচন চাই।’
ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ বলেন, ‘ছাত্রশিবির একতরফাভাবে রাকসু নির্বাচন কীভাবে দখল করা যায়, সে ষড়যন্ত্র করছিল। ছাত্রদলসহ অন্য শিক্ষার্থীরা এই ষড়যন্ত্র রুখতে সক্ষম হয়েছি। জামায়াত-শিবিরের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে ব্যালটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জবাব দেবেন।’
মন্তব্য করুন