

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে আব্দুর রশিদ জিতু এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে মাজহারুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ফেরদৌস আল হাসান (পুরুষ) ও আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা (ছাত্রী)। ফলাফল শনিবার রাতে সিনেট ভবনে ঘোষণা করা হয়।
ভোটের ফলাফলে দেখা গেছে, ভিপি আব্দুর রশিদ জিতু পেয়েছেন ৩,৩৩৪ ভোট। জিএস মাজহারুল ইসলাম পেয়েছেন ৩,৯৩০ ভোট। এজিএস ফেরদৌস আল হাসান পেয়েছেন ২,৩৫৮ ভোট এবং এজিএস আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা পেয়েছেন ৩,৪০২ ভোট।
ভিপি আব্দুর রশিদ জিতু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর গ্রামের বাসিন্দা। জিতু বিশ্ববিদ্যালয়ের গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক। তিনি জুলাই আন্দোলনের প্রথম থেকে সক্রিয় ছিলেন এবং আন্দোলনের পর ‘গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন’ প্ল্যাটফর্ম থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
জিএস মাজহারুল ইসলাম ইংরেজি বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডার এলাকার বাসিন্দা। মাজহারুল ইসলামের পরিবারে তার পিতা ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের অফিস ও প্রচার সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
এজিএস আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা দর্শন বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা। মেঘলা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সহসভাপতি এবং ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের সদস্য।
এজিএস ফেরদৌস আল হাসান প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি পিরোজপুর সদর উপজেলার বাসিন্দা। স্কুল ও কলেজ জীবন থেকে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তিনি জুলাইয়ের অভ্যুত্থানসহ বহু আন্দোলন ও সেবামূলক কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রুপের নেতৃত্বে দায়িত্ব পালন করেছেন ফেরদৌস। এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠনে সক্রিয়।
এবারের জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১১,৭৪৩ জন। ভোটের হার প্রায় ৬৭–৬৮ শতাংশ। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে মোট ১৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ভিপি পদে ৯ জন ও জিএস পদে ৮ জন প্রার্থী ছিলেন। ছাত্রীদের জন্য ১০টি হলের মধ্যে ৫৯টি পদে কোনো প্রার্থী ছিলেন না, ৬৭টি পদের জন্য একজন করে প্রার্থী থাকায় মোট ২৪টি পদে ভোট নেওয়া হয়। ২১টি হলে ২টি হলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন।
মন্তব্য করুন
