

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান বলেছেন, ভোট গণনা দুপুর আড়াইটার মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করছি। এরপর কিছু প্রস্তুতি আছে, আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ফল ঘোষণার প্রত্যাশা করা যাচ্ছে।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, যারা নির্বাচনে বর্জন করেছেন, তাদের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। কেউ চাইলে বর্জন করতে পারেন, কেউ চাইলে অংশগ্রহণ করতে পারেন; এটি তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার।
নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তারের পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “একজন নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ সংক্রান্ত যে কথা বলা হচ্ছে, তার কোনো ফর্মাল পদত্যাগপত্র আসেনি, তাই ফর্মাল তথ্য নেই।”
তিনি আরও যোগ করেন, গণনার কাজ লাভ-লোকসান দেখে করা হচ্ছে না; জাকসুর বিধি অনুযায়ী সঠিকভাবে কাজ করা হচ্ছে।
এর আগে প্রক্টর ও জাকসু নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশিদুল আলম জানিয়েছেন, দুপুর আড়াইটার মধ্যে জাকসু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং আমাদের অভিজ্ঞতা সীমিত হলেও সবাই সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে। তাই আশা করা যায় আর দেরি হবে না।
এর পাশাপাশি, জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. খন্দকার লুৎফুল এলাহীও গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দুপুরের দিকে ফলাফল প্রকাশিত হতে পারে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে জাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ওইদিন রাত সোয়া ১০টা থেকে ভোট গণনা শুরু হলেও তা এখনো চলমান। জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৩ জন। ছাত্রদের হলের মধ্যে আল বেরুনী হলে ভোটার ২১০ জন, আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে ৩৩৩ জন, মীর মশাররফ হোসেন হলে ৪৬৪ জন, শহীদ সালাম-বরকত হলে ২৯৮ জন, মওলানা ভাসানী হলে ৫১৪ জন, ১০ নম্বর ছাত্র হলে ৫২২ জন, শহীদ রফিক-জব্বার হলে ৬৫০ জন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫০ জন, ২১ নম্বর ছাত্র হলে ৭৩৫ জন, জাতীয় কবি নজরুল হলে ৯৯২ জন এবং তাজউদ্দীন আহমদ হলে ৯৪৭ জন ভোটার রয়েছেন।
ছাত্রীদের হলের মধ্যে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ২৭৯ জন, জাহানারা ইমাম হলে ৩৬৭ জন, প্রীতিলতা হলে ৩৯৬ জন, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৪০৩ জন, সুফিয়া কামাল হলে ৪৫৬ জন, ১৩ নম্বর ছাত্রী হলে ৫১৯ জন, ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে ৫৭১ জন, রোকেয়া হলে ৯৫৬ জন, ফজিলাতুন্নেছা হলে ৭৯৮ জন এবং তারামন বিবি হলে ৯৮৩ জন ভোটার রয়েছেন।
এবার প্রায় ৬৭-৬৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। কেন্দ্রীয় সংসদে মোট ২৫টি পদে লড়েছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। ভিপি পদে ৯ ও জিএস পদে ৮ জন প্রার্থী ছিলেন। ছাত্রীদের ১০টি আবাসিক হলে ১৫০টি পদের মধ্যে ৫৯টিতে কোনো প্রার্থী ছিলেন না। একজন করে প্রার্থী ছিলেন ৬৭টি পদে। সে হিসাবে মাত্র ২৪টি পদে ভোট নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলের মধ্য ২টি হলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন।
মন্তব্য করুন
