

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কুষ্টিয়ায় দুই দিন ব্যাপী নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ও রবিবার দুইদিন ব্যাপী আড়ম্বরপূর্ণ নানান আয়োজনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবাগত শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
প্রথম দিন শনিবারে (২০ সেপ্টেম্বর) বরণ করে নেয়া হয় আইন অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ, জীববিজ্ঞান অনুষদ এবং প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুসারে নবীন শিক্ষার্থীদের। এদিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস. এম. এ. ফায়েজ।
ড. ফায়েজ বলেন,”বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উভয়েই স্কলার। একজন শিক্ষক হিসেবে অন্যজন শিক্ষার্থী হিসেবে। শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদেরকে সমাজের সমস্যা বুঝতে শেখাতে হবে। সাথে সাথে সমস্যার সমাধানের পথও বাতলে দিতে হবে। তাদেরকে সফলতার পথ দেখাতে হবে, যাতে তারা দায়িত্বশীল নাগরিক হয়ে সমাজ ও জাতিকে এগিয়ে নিতে পারে।”
দ্বিতীয় দিনে শনিবারে (২০ সেপ্টেম্বর) থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদ, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ও কলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের বরণ করা হয়। এদিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চিন্তাবিদ, লেখক ড. সলিমুল্লাহ খান।
ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, "আমি বাংলায় কথা বলছি। আমি তো জানি, আমি বাংলা ভাষাকে নতুন করে প্রাণ দেওয়ার জন্য কিছু বলছি না। পৃথিবীর সব দেশের ভাষায় শিক্ষা এবং জ্ঞান বিস্তারের মাধ্যম হয়ে গেলে সব মানুষের শিক্ষিত হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আমাদের দেশে যে এখনও শত শত মানুষ শিক্ষিত হতে পারেনি, তাদের জ্ঞানের আলো আমরা মানুষের কাছে নিয়ে যেতে পারিনি লিখিত রূপে, সেটার কারণ হচ্ছে আমাদের অর্থ জ্ঞানের অভাব, আমাদের বিদ্যা শিক্ষার জন্য বইপত্রের অভাব।"
দুই দিনের এই অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর সভাপতিত্ব বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. এয়াকুব আলী এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আ. ব. ম. সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ এমতাজ হোসেন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সেলিনা নাসরিন, এবং রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মনজুরুল হক। অনুষ্ঠানে অনুষদভুক্ত নবীন শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভাগসমূহের সভাপতি ও শিক্ষকবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।ছিলেন আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম ও সমাজকল্যাণ বিভাগের প্রভাষক মো. হাবিবুর রহমান।
দ্বিতীয় দিনশেষে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় হলো শিক্ষা ও জ্ঞানের সর্বোচ্চ স্তর। এখানে প্রবেশ মানে মানবজীবনের এক বিশেষ গৌরব ও দায়িত্বের সূচনা। শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাননি, বরং জ্ঞানের উচ্চতর পরিসরে প্রবেশ করছেন, যা তাদেরকে বিশ্বপরিসরে জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ করে দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষণ-পদ্ধতির বিশেষত্ব হলো এখানে কোনো শিক্ষক পাঠ্যবই ডিক্টেট করেন না, বরং শিক্ষার্থীদের নিজে পড়তে, অন্বেষণ করতে ও জ্ঞান আহরণে উদ্বুদ্ধ করেন। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা স্বনির্ভর অধ্যয়ন ও জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব উপলব্ধি করে।
অনুষ্ঠান কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম আশরাফ উদ্দিন খান পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়ে পবিত্র গীতা ও ত্রিপিটক থেকে পাঠ উপস্থাপন করা হয়। পরে একটি তথ্যবহুল ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও জিএসটি-ভুক্ত পরীক্ষায় মেধাবীদের পুরস্কৃত করা হয় এবং দ্বিতীয় পর্বে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
