সোমবার
১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সোমবার
১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জগন্নাথ হলে ‘রাজাকার’-এর ব্যঙ্গাত্মক ছবি মুছে দিল প্রশাসন ঢাবি প্রতিনিধি

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:০২ পিএম
expand
জগন্নাথ হলে ‘রাজাকার’-এর ব্যঙ্গাত্মক ছবি মুছে দিল প্রশাসন ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থীরা মহান শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার আমলে মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত নিজামী, কাদের মোল্লা ও গোলাম আযমের ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করেন।

তবে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে মহান শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ কার্যালয় সংলগ্ন রাস্তায় এসব চিত্র অঙ্কন ও প্রদর্শন করা হয়।

সংশ্লিষ্ট অনেকের মতে, রাজাকারদের প্রতি ঘৃণা, বিদ্বেষ ও নিন্দা জানানোর অন্তরালে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুন্নত দাড়ি ও টুপির অবমাননা করা হয়েছে।

তবে জগন্নাথ হল ছাত্র সংসদের ভিপি ছাত্রদল নেতা পল্লব চন্দ্র বর্মণের মতে, মহান শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ হল ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে আয়োজিত ‘চিত্র প্রদর্শনী এবং তুলির আঁচড়ে দ্রোহ’ শীর্ষক আয়োজনে শিক্ষার্থীরা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি-বিশেষ করে রাজাকার, আল বদর ও আল শামস বাহিনীর নেতৃত্বদানকারী জামায়াতের শীর্ষ নেতা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, অধ্যাপক গোলাম আযম এবং আব্দুল কাদের মোল্লার প্রতীকী চিত্র এঁকেছেন।

একই সঙ্গে হল প্রশাসন কর্তৃক প্রতীকী চিত্রগুলো মুছে ফেলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি তা প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, ‌‘আমরা জানি না হল প্রশাসন কীসের ভয়ে বা কোন কারণে এসব চিত্র মুছে ফেলেছে। তবে রাজাকারদের ছবি তারা মুছে ফেললেও আমরা আবার আঁকব এবং প্রমাণ করব যে, আমরা জগন্নাথ হলবাসী সবসময় স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নেব।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ দেবাশীষ পাল বলেন, হল সংসদের নেতারা এসব চিত্র অঙ্কন করেছেন এবং তা সম্পূর্ণভাবে হল প্রশাসনের অজান্তে করা হয়েছে।

পরবর্তীতে, যেহেতু বিগত সময়ে কখনোই ১৪ ডিসেম্বর বা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালনে এ ধরনের কোনো কার্যক্রম হয়নি, তাই কর্তৃপক্ষ প্রতীকী চিত্রগুলো মুছে ফেলেছে।

তবে সরেজমিনে উপস্থিত থেকে দেখা গেছে, অঙ্কিত প্রতীকী চিত্রগুলো হল প্রশাসন পানি দিয়ে মুছে ফেলার চেষ্টা করলেও তা পুরোপুরি মুছে যায়নি; বরং চিত্রগুলো এখনো দৃশ্যমান রয়েছে।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

X