

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে নির্ধারিত বয়সসীমা ও শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্ত না মানলেও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং এর আওতাধীন আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসব নিয়োগকে অনিয়ম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে ২০২১-২২ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকারি তহবিল থেকে প্রায় ৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, যোগ্যতা পূরণ না করা সত্ত্বেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়া হয়েছে। এতে শুধু আর্থিক ক্ষতিই হয়নি, নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ও অবৈধভাবে প্রদত্ত অর্থ ফেরত আনার সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।
বিশেষ করে ইউজিসি, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ্যতা ছাড়াই চাকরি দিয়ে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে, যা সংশ্লিষ্ট নীতিমালা উপেক্ষা করেই করা হয়েছে।
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক নিয়োগেও অনিয়ম ধরা পড়ে। বিজ্ঞপ্তিতে চার বছর মেয়াদি স্নাতক ও নিয়মিত স্নাতকোত্তর ডিগ্রির শর্ত থাকলেও সান্ধ্যকালীন এমএসসি ডিগ্রিধারীকে পদটি দেওয়া হয়। এতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৫ লাখ টাকার বেশি।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগেও শর্ত লঙ্ঘনের নজির পাওয়া গেছে। একজন প্রার্থী এসএসসি ও এইচএসসিতে নির্ধারিত জিপিএ অর্জন না করেও প্রভাষক হিসেবে চাকরি পেয়েছেন। আবার অভিজ্ঞতার শর্ত না মেলানো সত্ত্বেও পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) ও রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যার ফলে ক্ষতি হয়েছে ১ কোটি ৬৬ লাখ টাকার বেশি।
জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকশন অফিসার নিয়োগে বয়সসীমা ৩০ বছর হলেও নির্বাচিত প্রার্থীর বয়স ছিল ৩২ বছরের বেশি। এতে সরকারের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২৬ লাখ টাকা।
শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর মনে করছে, এসব অনিয়ম শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতিই করেনি, বরং সরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর আস্থার সংকটও তৈরি করেছে।
মন্তব্য করুন

