

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি সদস্য পরিচয়ে অপহরণ ও চাঁদাবাজি করা প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সিআইডি জানায়, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে সিআইডি বা পুলিশের নাম ব্যবহার করে লোকজনকে অপহরণ করে চাঁদা আদায়, মারধর এবং ভিডিও ধারণের মাধ্যমে ব্ল্যাকমেল করছিল।
রবিবার (২৩ নভেম্বর) গণমাধ্যমে এ তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান। এর আগে গতকাল শনিবার রাজধানীর হাইকোর্ট এলাকা থেকে সিআইডির সিরিয়াস ক্রাইম শাখার একটি অভিযানিক দল তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ঝিনাইদহের বাদপুকুরিয়ার জাকির হোসেনের ছেলে মো. হাসানুজ্জামান (৩৫) এবং খুলনার কয়রা থানাধীন ভাগবা এলাকার মৃত আবুল কাশেম শিকারীর ছেলে মো. আলমগীর শিকারী (৪৬)।
সিআইডি বলছে, চক্রটি প্রথমে তাবলীগ জামাত বা অন্যান্য ধর্মীয় প্রোগ্রামের সূত্র ধরে লোকজনের সাথে পরিচয় গড়ে তোলে এবং অভাবের কথা বলে টাকা নেওয়ার ফাঁদ পেতে ভুক্তভোগীদের টার্গেট করত।
বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানায়, সিআইডি পুলিশ পরিচয় দিয়ে জাল গ্রেফতারি পরোয়ানা দেখিয়ে এক ভুক্তভোগীকে জোর করে গাড়িতে তোলে এবং পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি দেয়। এসময় সেই ভুক্তভোগীর ব্যবসায়ীক পার্টনার রেজাউল করিমও ছিলো।
এর পর অপহরণকারীরা তাদেরকে ঢাকার হাসনাবাদস্থ বসুন্ধরা সিটির বি-রক, রোড নং-০৮ এর একটি ৬ তলা বাড়ির ৬ষ্ঠ তলায় নিয়ে যায়।
সেখানে নিয়ে তাদের নিকট হতে ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা প্রদানে অস্বীকার করলে মারধর শুরু করে এতে সে ভয় পেয়ে সাথে থাকা নগদ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ট্রান্সফার করে মোট ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা প্রদান করে ভুক্তভোগী। অপহরণকারীরা ব্যবসায়ীক বন্ধু কাছ থেকেও ২৭ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
এছাড়াও, ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে বিবস্ত্র অবস্থায় ভিডিও ধারণ করে এবং স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে রাখে চক্রটি। যা দিয়ে পরবর্তীতে ব্ল্যাক মেইল করতে থাকে।
সিআইডি আরও জানায়, গ্রেফতার হওয়া দু'জনই জিজ্ঞাসাবাদে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে সিআইডি কাজ করছে বলেও জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন