

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ভুয়া সাংবাদিক পরিচয়ে ভয়ভীতি ও ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে ২০ লাখ টাকা দাবি করার অভিযোগে এক প্রতারককে হাতেনাতে আটক করেছে দারুসসালাম থানা পুলিশ।
একই চক্রের আরও ৬ থেকে ৭ জন সদস্যসহ ২০-২৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গত ৭ ও ৮ ডিসেম্বর ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেডের কয়েকজন কর্মকর্তার মোবাইলে পরপর অজ্ঞাত নম্বর থেকে কল আসে। কলদাতারা নিজেদের ‘সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে দাবি করতে থাকে প্রতিষ্ঠানটি সরকারি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে, তাই নিয়মিত মাসিক চাঁদা দিতে হবে ইতোমধ্যে বিভিন্ন পত্রিকায় ‘সংবাদ করানো হয়েছে’ আরও ভুয়া নেতিবাচক রিপোর্ট প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম নষ্ট করা হবে। অফিসে ঢুকে সরাসরি ২০ লাখ টাকার দাবি করে।
পরদিন চক্রের কয়েকজন সদস্য প্রতিষ্ঠানটির কল্যাণপুরের খাজা সুপার মার্কেটের অফিসে হাজির হয়ে ২০ লাখ টাকা দাবি করে কর্মকর্তাদের ভয় দেখায় প্রকল্প নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ তুলে ধরার হুমকি দেয়।
যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তারা হলেন- মো. জাহাঙ্গীর আলম (গ্রেপ্তার), মো. মেছ মাউল আলম মোহন, খাদিজা আক্তার পূর্ণী, এস এম মোরশেদ, আব্দুর রহমান সজীব, রূপক, মীর আনিস।
এছাড়া আরও ২০-২৫ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের কৌশলগতভাবে চক্রের একজন সদস্যকে ‘চূড়ান্ত আলোচনার জন্য’ অফিসে ডেকে নেন। সেই সূত্র ধরে মো. জাহাঙ্গীর আলম অফিসে এলে আগেই ওঁত পেতে থাকা পুলিশ তাকে ঘটনাস্থলেই গ্রেপ্তার করে।
জাহাঙ্গীর আলম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন যে তিনি চাঁদার টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যে অফিসে গিয়েছিলেন। তিনি আরও স্বীকার করেন যে চক্রের অন্যান্য সদস্যরাও এই চাঁদাবাজিতে সরাসরি জড়িত। তাড়াই আমাকে এখানে চাঁদার জন্য পাঠায়।
ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. সাইফুল ইসলাম অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়াতে সংবাদ, বিভিন্ন নম্বর থেকে হুমকি, ভয়ভীতি ও ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছিল। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ তৈরি করার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতে চাইছিল।
দারুসসালাম থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, এটি একটি সংঘবদ্ধ প্রতারণা ও চাঁদাবাজ চক্র। আসামি চাঁদার বিষয়টি স্বীকার করেছে এবং মামলায় যাদের নাম রয়েছে তাদের প্রত্যেককে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড জানায়, সাংবাদিক পরিচয়ে ব্ল্যাকমেইলিং ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে অর্থ আদায় একটি গুরুতর অপরাধ। প্রতারক চক্রটির কল রেকর্ডিং সহ অন্যান্য ডকুমেন্ট আমাদের কাছে আছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রদান করা হয়েছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি পূর্ণ আস্থাশীল এবং এই চক্রের সব সদস্যের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন

