

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


আন্তর্জাতিক দুগ্ধপণ্য নিলাম প্ল্যাটফর্ম গ্লোবাল ডেইরি ট্রেড (জিডিটি)-এর সর্বশেষ সেশনে দাম কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। সূচক নেমে এসেছে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সম্প্রতি নিউজিল্যান্ড ও ইউরোপে উৎপাদন বেড়ে গেলেও এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে চাহিদা আশানুরূপ বাড়েনি। বৈশ্বিক অর্থনীতি নিয়ে অনিশ্চয়তা ও ভোক্তাদের ব্যয় সংকোচনের কারণে ব্যবহারও সীমিত হয়ে পড়েছে। এতে নিলামে প্রতিযোগিতা কমে গিয়ে দাম নিচের দিকে নেমেছে।
হোল মিল্ক পাউডার (WMP): জিডিটির সবচেয়ে প্রভাবশালী এ পণ্যটির দাম টনপ্রতি দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮০৯ ডলার, যা আগের তুলনায় ৫.৩% কম।
স্কিম মিল্ক পাউডার (SMP): দাম নেমে গেছে ৫.৮%, টনপ্রতি ২ হাজার ৬২০ ডলারে।
মোজারেলা: টনপ্রতি মূল্য ৪ হাজার ২৪৪ ডলার, আগের তুলনায় ৪.৬% কম। বাটার: দাম দাঁড়িয়েছে টনপ্রতি ৬ হাজার ৯৬৯ ডলার, যা ২.৫% হ্রাস। অ্যানহাইড্রাস মিল্কফ্যাট: টনপ্রতি ৬ হাজার ৯১৭ ডলার, কমেছে ২.৬%। বাটার মিল্ক পাউডার: টনপ্রতি ২ হাজার ৮৬৮ ডলার, যা ৬.৩% পতন।
নিউজিল্যান্ড এক্সচেঞ্জের ডেইরি ইনসাইটস প্রধান ক্রিস্টিনা আলভারাদো জানিয়েছেন, চীনের অংশগ্রহণ এবার বেড়ে মোট ক্রয়ের অর্ধেকের মতো হয়েছে, যেখানে আগের নিলামে তা ছিল ৩৪%। তবে অন্যান্য অঞ্চলের চাহিদা দুর্বল ছিল। এ পরিবর্তনও দামের ওপর চাপ বাড়িয়েছে।
একই সঙ্গে ২০২৫-২৬ মৌসুমের শুরুতে নিউজিল্যান্ডে দুধ সংগ্রহ রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্র, আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়েতে উৎপাদন বেড়েছে যথাক্রমে ৩.৪%, ৭.৭% ও ৩%। ইউরোপীয় ইউনিয়নে সামান্য বৃদ্ধি দেখা গেলেও অস্ট্রেলিয়ায় জুলাই মাসে উৎপাদন কমেছে প্রায় ৪%।
আলভারাদো বলেন, “WMP ও ফ্যাটজাত পণ্যের রফতানি বাড়ায় বাজারে সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে। কিন্তু চাহিদা নিম্নমুখী থাকায় দামে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।”
সব পণ্যের মধ্যে শুধু চেডার পনিরের দাম বেড়েছে। অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব চুক্তিতে ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। সর্বশেষ নিলামে এ পণ্যের গড় দাম দাঁড়ায় টনপ্রতি ৪ হাজার ৭০৯ ডলার, যা আগের নিলামের তুলনায় ৩.৬% বেশি।
মন্তব্য করুন
