

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


দীর্ঘ ১৪ বছর পর আবারও আন্তর্জাতিক বাজারে তেল রপ্তানি শুরু করল সিরিয়া। সম্প্রতি দেশটির টারতুস বন্দর থেকে প্রায় ৬ লাখ ব্যারেল হেভি ক্রুড অয়েল নিয়ে একটি ট্যাংকার রওনা হয়েছে গন্তব্যে। আন্তর্জাতিক জ্বালানি প্রতিষ্ঠান বি সার্ভ এনার্জির সঙ্গে এই রপ্তানি চুক্তি, সিরিয়ার বৈশ্বিক জ্বালানি বাণিজ্যে আংশিক প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
একসময় (২০১০ সালে) দেশটি দৈনিক প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল তেল রপ্তানি করত। কিন্তু এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধ, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও বিভিন্ন গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তেল খাত। পরবর্তী সময়ে দামেস্ক সরকার তেল পাচার, বিনিময় বাণিজ্য ও অস্বচ্ছ চুক্তির ওপর নির্ভর করতে বাধ্য হয়।
সিরিয়ার জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন চালানের তেল একাধিক তেলক্ষেত্র থেকে উত্তোলিত। কুর্দি নিয়ন্ত্রিত কর্তৃপক্ষের সরবরাহের ধারাবাহিকতায় এই রপ্তানি হলেও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে সেই সহযোগিতা দুর্বল হয়ে গেছে।
নতুন সরকারের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বীমা কাঠামো নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ায় বৈধ বাণিজ্যিক সুযোগ তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে টারতুস বন্দরে নতুন টার্মিনাল নির্মাণের জন্য ৮০০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি হয়েছে উপসাগরীয় বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে, যেখানে রাশিয়ার পূর্ববর্তী চুক্তি বাতিল করা হয়।
সাম্প্রতিক ডিক্রি নং ১৫০/২০২৫-এর মাধ্যমে তেল, বিদ্যুৎ ও পানি খাত একত্রিত করে একটি নতুন জ্বালানি মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়েছে, যার লক্ষ্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা।
অর্থনীতিবিদদের মতে, এই চালান প্রতীকী হলেও ভবিষ্যতে নিয়মিত রপ্তানির পথ খুলতে পারে। তবে অবকাঠামো পুনর্গঠন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া উৎপাদন বাড়ানো কঠিন হবে। তাদের ধারণা, স্থিতিশীলতা ফিরে এলে মাসে অর্ধ থেকে এক মিলিয়ন ব্যারেল রপ্তানি সম্ভব হতে পারে, যা দেশের অর্থনীতিতে স্বস্তি আনবে। তবে নিষেধাজ্ঞা ফিরে এলে পুরনো সংকটই আবার সামনে আসবে।
মন্তব্য করুন
