

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন মন্তব্য করেছেন, সঠিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নেতৃত্ব থাকলে পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।
তিনি বলেন, দেশীয় পণ্য উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালের অভাব থাকলেও শিক্ষার্থীরা জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে এই ঘাটতি পূরণ করতে পারবে। “জ্ঞান আল্লাহর অনুগ্রহ; চেষ্টা করলেই সাফল্য পাওয়া যায়, এখানে কোনো সিন্ডিকেট নেই,” তিনি উল্লেখ করেন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নে লেবারের উৎপাদনশীলতা, লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা, আর্থিক সুবিধা ও বাজারে প্রবেশ নিশ্চিত করা জরুরি। এগুলো ঠিকভাবে বাস্তবায়ন করলে কাঁচামালের ঘাটতি মেটিয়ে দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের হোটেল রেডিসন ব্লুতে ‘ব্যবসার ভবিষ্যৎ: উদ্ভাবন, প্রযুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন এবং শিক্ষার্থী ও শিক্ষক প্রশ্নের উত্তর দেন। সম্মেলনের আয়োজন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা গবেষণা ব্যুরো।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনায় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রমজানে সরকারের অর্থ বিভাগ, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত প্রচেষ্টায় সরবরাহ চেইন স্বাভাবিক ছিল, যার ফলে নিত্যপণ্যের দামও নিয়ন্ত্রণে ছিল।
তিনি দাবি করেন, গণঅভ্যুত্থানের পর বাজার পরিচালনা করা ছিল চ্যালেঞ্জিং। তখন সিন্ডিকেটের অনেক সদস্য দেশ ছেড়ে গিয়েছিল এবং সাপ্লাই সাইড ঠিক রাখা কঠিন হয়ে পড়েছিল। তবে ব্যবসায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও আল্লাহর অনুগ্রহে দেশ সেই অবস্থার উত্তরণে সক্ষম হয়েছে।
উপদেষ্টা জানান, শেখ হাসিনার দায়িত্বকাল শেষ হওয়ার সময় দেশের রিজার্ভ ছিল মাত্র ১০ বিলিয়ন ডলার, এবং ৬ বিলিয়ন ডলারের দায় ছিল বিদেশী প্রতিষ্ঠান ও দেশগুলোর প্রতি। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে তা পরিশোধ করা হয়েছে। বর্তমানে রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
ভবিষ্যতের রাজনৈতিক সরকারের প্রতি প্রত্যাশা সম্পর্কে তিনি বলেন, অতীত ১৬ বছরের শাসকরা ক্রোনি ব্যবস্থাপনা তৈরি করেছিল, যা দেশের সম্পদের সমতুল্য বণ্টন নষ্ট করেছিল। আগামী সরকার যদি গণতান্ত্রিকভাবে বাজার পরিচালনা ও নিরপেক্ষ সংস্কার কার্যকর করে, বাজার ব্যবস্থার স্থায়িত্ব এবং সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত হবে।
সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, ব্যবসা প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. তৈয়ব চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আইয়ুব ইসলাম এবং সোনালী ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান মুসলিম উদ্দিন চৌধুরী।
সমাপনী অনুষ্ঠানে শেখ বশিরউদ্দীন ব্যবসা-বাণিজ্যে বিশেষ অবদানের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ক্রেস্ট প্রদান করেন।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
