

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার দুইদিনের সফরে বাংলাদেশে পৌঁছেছেন। এ সফরকে আঞ্চলিক কূটনীতিতে ঐতিহাসিক ব্রেকথ্রু হিসেবে দেখা হচ্ছে।
গত ১৩ বছরে পাকিস্তানের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম বাংলাদেশ সফর এটি। কূটনীতিকরা মনে করছেন, সফরটি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে দুই দেশের সম্পর্ক শক্তিশালী করতে, বাণিজ্য ও আঞ্চলিক নিরাপত্তায় সহযোগিতা ও সাংস্কৃতিক বিনিময় বাড়াতে চায় ইসলামাবাদ ও ঢাকা।
সংবাদমাধ্যম পাক ট্রিবিউন জানিয়েছে, ইসহাক দার বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূ ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে।
কূটনীতিকদের মতে, এটি বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে বিশ্বাস পুনরায় গড়ে তোলার গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞের পর সম্পর্ক দীর্ঘদিন উত্তেজনাপূর্ণ ছিল। তবে সাবেক স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সংলাপ এবং সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।
ইসহাক দারের সফরের সময় উভয় দেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর করবে, যার লক্ষ্য:
বাণিজ্য সম্প্রসারণ
ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা
সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধি
আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গঠন
বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তান বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির সুযোগ কাজে লাগাতে চায়, আর বাংলাদেশ পাকিস্তানি বাজারে প্রবেশাধিকার, টেক্সটাইল ও আইটি খাতে দক্ষতা বৃদ্ধির চেষ্টা করছে।
সফরটি একটি কৌশল হিসেবেও দেখা হচ্ছে, যা আঞ্চলিক সম্পর্ক পুনর্গঠন এবং স্থিতিশীল অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার সুযোগ দিতে পারে। বিশেষ করে প্রতিবেশী অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে, ঢাকা-ইসলামাবাদ ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
তবে দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল নির্ভর করছে রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং চলমান আলোচনার বাস্তব প্রভাবের ওপর। আপাতত, এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় সহযোগিতা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথ খুলে দিতে পারে।
মন্তব্য করুন