শনিবার
১৫ নভেম্বর ২০২৫, ৩১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শনিবার
১৫ নভেম্বর ২০২৫, ৩১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেগেটিভ ইক্যুইটি সমন্বয়ে ২০৩২ সাল পর্যন্ত সময় পেল স্টক ব্রোকাররা

এনপিবি প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:০৯ পিএম
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)
expand
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)

দেশের পুঁজিবাজারের অবস্থা বেশ কয়েক বছর ধরেই নাজুক। এর মধ্যেই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) দেশের ২৮টি পুঁজিবাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানকে তাদের নেতিবাচক ইক্যুইটি ও অবাস্তব লোকসান সমন্বয়ের জন্য অতিরিক্ত ৬ বছর বা ২০৩২ সাল পর্যন্ত সময় দিয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে স্টকব্রোকার, ডিলার এবং মার্চেন্ট ব্যাংকসহ একাধিক বাজার মধ্যস্থতাকারী।

বিএসইসির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কমিশন সংশ্লিষ্ট মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের বোর্ড অনুমোদিত কর্মপরিকল্পনার ভিত্তিতে এই অনুমোদন দিয়েছে। যদিও বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ করা হয়নি। তবে বিশ্লেষণে দেখা গেছে ২৮টি প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগই বাণিজ্যিক ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি।

বিজ্ঞপ্তিতে বিএসইসি জানিয়েছে, সমস্যা পুরোপুরি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত মধ্যস্থতাকারীদের ত্রৈমাসিক অগ্রগতির প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। একই সঙ্গে কমিশন কিছু কঠোর শর্তও আরোপ করেছে। যেমন- নেতিবাচক ইকুইটি থাকা বিও অ্যাকাউন্টে নতুন কোনো শেয়ার কেনা যাবে না, তবে সমন্বয়ের জন্য বিক্রি করা যাবে। মার্জিন লোনের ওপর কোনো সুদ বা ব্যবস্থাপনা ফি চার্জ করা নিষিদ্ধ।

এই সময়কালে কোনো ডিভিডেন্ড ঘোষণা বা বিতরণ করা যাবে না। নতুন করে নেতিবাচক ইক্যুইটি তৈরি করা যাবে না, আর যদি অনিবার্য পরিস্থিতিতে তৈরি হয় তা চলতি অর্থবছরের মধ্যেই প্রভিশনিং করতে হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে স্টকব্রোকাররা নেতিবাচক ইক্যুইটি ও অবাস্তব লোকসানের প্রভিশনিংয়ের জন্য ২০৩০ সাল পর্যন্ত ছয় বছরের শিথিলতা প্রস্তাব করেছিল। পরে এ বছরের এপ্রিলে বিএসইসি ব্রোকার, ডিলার ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে বোর্ড অনুমোদিত কর্মপরিকল্পনা জমা দিতে বলে। এর পর নিয়ন্ত্রক সংস্থা পূর্ব নির্ধারিত সময়সীমা ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত করে। কিন্তু বাজারের দুর্বল অবস্থার কারণে অধিকাংশ মধ্যস্থতাকারী তা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়। ফলে তাদের লিভারেজড ক্লায়েন্ট অ্যাকাউন্টে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার মন্দ সম্পদ ফেলে থাকে।

সময়সীমা পাওয়া ২৮টি প্রতিষ্ঠান হলো: এআইবিএল ক্যাপিটাল মার্কেট সার্ভিসেস, ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ, মার্কেন্টাইল ব্যাংক সিকিউরিটিজ, ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজ, ইবিএল সিকিউরিটিজ, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ, উত্তরা ব্যাংক সিকিউরিটিজ, এনসিসিবি সিকিউরিটিজ, আইআইডিএফসি সিকিউরিটিজ, সাউথইস্ট ব্যাংক সিকিউরিটিজ, ইউনিক্যাপ ইনভেস্টমেন্টস, আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট, জিএসপি ইনভেস্টমেন্টস, অগ্রণী ইক্যুইটি অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট, আইআইডিএফসি ক্যাপিটাল, ইসি সিকিউরিটিজ, যমুনা ব্যাংক ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট, ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজ, পূবালী ব্যাংক সিকিউরিটিজ, এমটিবি সিকিউরিটিজ, এবি সিকিউরিটিজ, ফিনিক্স সিকিউরিটিজ, প্রাইম ইসলামী সিকিউরিটিজ, এসবিএল ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট, ট্রাস্ট ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট, ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট ও ইবিএল ক্যাপিটাল লিমিটেড।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন