

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ইসলামী ব্যাংকে নতুন নিয়োগ নিয়ে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। গত শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ায় ৪ হাজার ৯৫৩ জন কর্মীকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। এছাড়া ২০০ জনকে চাকরি বিধি লঙ্ঘনের কারণে ছাটাই করা হয়েছে। এরপর রোববার ও সোমবার চট্টগ্রামের পটিয়ায় কিছু কর্মী বিক্ষোভ দেখান, যাকে পুলিশ সরিয়ে দিয়েছে।
গত ২১ আগস্ট, ব্যাংকের চট্টগ্রামের চাক্তাই শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. জিয়া উদ্দিন নোমান হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে নিষ্পত্তির জন্য ২৭ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানানো হয়, ইসলামী ব্যাংক একটি বেসরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এবং কর্মকর্তাদের নিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকের স্বাধীন এখতিয়ার রয়েছে। ব্যাংক বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষা নেওয়া বা কাউকে চাকরিতে রাখা বা না রাখার বিষয়ে নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
রিটকারী মো. জিয়া উদ্দিন নোমান জানিয়েছেন, তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠি পেয়েছেন এবং বিষয়টি নিয়ে অন্যান্য প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, আদালতের নির্দেশনার আলোকে ব্যাংককে নির্দেশনা দিয়েছে। যারা পরীক্ষায় অংশ নেননি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যাংক ব্যবস্থা নিলে ব্যাংক আইনত সঠিক কাজ করেছে।
ইসলামী ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ব্যাংকের মোট কর্মকর্তা–কর্মচারীর সংখ্যা ২১ হাজার। ২০১৭ থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ১১ হাজারকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, পূর্ব অভিজ্ঞতা বা মূল্যায়ন পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রাম জেলার মধ্যে ৭ হাজার ২২৪ জনের মধ্যে ৪ হাজার ৫২৪ জন পটিয়ার বাসিন্দা ছিলেন।
ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. কামাল উদ্দীন জসীম জানান, ২০১৭–২০২৪ সালের মধ্যে অনিয়মিতভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের জন্য ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর মাধ্যমে বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষা আয়োজন করা হয়। যারা অংশ নেননি, তাদের ওএসডি করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় কিছু কর্মীকে ছাটাই করা হয়েছে। এছাড়া অনেক কর্মীর একাডেমিক সনদ যাচাইয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে, যা পরবর্তীতে চাকরিচ্যুতির কারণ হয়।
ইসলামী ব্যাংক ২৮ সেপ্টেম্বর একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ব্যাংক একটি শরীয়াহ কমপ্লায়েন্ট প্রতিষ্ঠান এবং সকল সরকারি ও নিয়ন্ত্রণ সংস্থার নিয়ম মেনে পরিচালিত হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে অনিয়মিতভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের বিষয়ে গ্রাহক ও শুভানুধ্যায়ীদের বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    