

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বাংলাদেশ সরকারের মোট ঋণ প্রথমবারের মতো ২১ লাখ কোটি টাকার ওপরে উঠেছে।
অর্থ বিভাগের সাম্প্রতিক ঋণ বুলেটিন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুন শেষে সরকারের মোট দায় দাঁড়িয়েছে প্রায় ২১.৪৪ ট্রিলিয়ন টাকা।
আগের বছরের তুলনায় এটি প্রায় ১৪ শতাংশ বেশি, যখন মোট ঋণ ছিল ১৮.৮৯ ট্রিলিয়ন টাকা।
বুলেটিনের তথ্য বলছে, মোট ঋণের মধ্যে বৈদেশিক অংশ বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ৯.৪৯ ট্রিলিয়ন টাকায়, যা সমগ্র ঋণের প্রায় ৪৪ শতাংশ। গত পাঁচ বছর ধরে বিদেশি ঋণ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে—২০২১ সালে যা ছিল ৪.২০ ট্রিলিয়ন টাকা, তখন মোট ঋণের প্রায় ৩৭ শতাংশ।
অন্যদিকে, অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নেওয়া ঋণও উর্ধ্বমুখী।
গত অর্থবছরের ১০.৭৬ ট্রিলিয়ন টাকা থেকে তা বেড়ে ১১.৯৫ ট্রিলিয়ন টাকায় পৌঁছেছে, যা প্রায় ১১ শতাংশ বৃদ্ধি। ২০২১ সালে অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ ছিল ৭.২২ ট্রিলিয়ন টাকা।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়—বৈদেশিক ঋণের বিস্তার অভ্যন্তরীণ ঋণের বৃদ্ধির তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
ঋণ বৃদ্ধির পেছনে বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করেছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তাদের মতে, করোনা মহামারির পর বিভিন্ন উন্নয়ন অংশীদার দেশের বাজেট সহায়তা বৃদ্ধি এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঢাকা মেট্রোরেল, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ বড় আকারের উন্নয়ন প্রকল্পে উচ্চ ব্যয় সরকারের ঋণ নির্ভরতা বাড়িয়েছে।
এদিকে, দেশের বর্তমান ঋণের ধারাকে উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান।
তার মতে, রাজস্ব সংগ্রহের দুর্বলতা সরকারের হাতে পর্যাপ্ত উদ্বৃত্ত তৈরি হতে দিচ্ছে না। ফলে উন্নয়ন ব্যয় মেটাতে সরকারকে বিদেশি ও স্থানীয়—দুই উৎস থেকেই বাড়তি ঋণ নিতে হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
