

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় থাকা পাঁচটি ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার শূন্য ঘোষণা এবং সেই প্রক্রিয়ার বিরোধিতায় বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে মানববন্ধন করে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।
ওই কর্মসূচিতে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা আর্থিক কর্তাদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেন।
মানববন্ধনে আন্দোলনকারীরা আগামী শনিবার (৮ নভেম্বর) মধ্যরাত পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে বলেন — এ সময়ের মধ্যে অর্থ উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও বিএসইসি চেয়ারম্যান পদত্যাগ না করলে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ২টায় ওই পাঁচ ব্যাংকের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী ও আমানতকারীদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাও করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সভাপতি মিজানুর রশিদ চৌধুরী, সিনিয়র জয়েন্ট সেক্রেটারি ও অন্যান্য সক্রিয় সদস্যরা।
তারা বলেছিলেন, মার্জার প্রক্রিয়াটি দ্রুত স্থগিত করা না হলে বিনিয়োগকারীদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
মানববন্ধনে বক্তারা দাবি করেন, যেসব ব্যাংক মার্জ করা হচ্ছে সে প্রক্রিয়া ভুলভিত্তিক ও অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত; যদি মার্জ করতেই হয় তবে নতুন নির্বাচিত সরকারের সিদ্ধান্তক্রমেই তা করা হোক — আগামী ফেব্রুয়ারি পরবর্তী সময়ে।
তাদের আশঙ্কা, কেন্দ্রীয়ভাবে দ্রুত ও অনির্দিষ্ট সময়ে মার্জ করলে সাধারণ ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের অর্থিক বিনিয়োগ ধ্বংস হতে পারে এবং দেশের পুঁজি বাজারে বিশ্বাস ফেরানো কঠিন হবে।
সংগঠনের সভাপতি মিজানুর রশিদ চৌধুরী বলেন, “মার্জার পুরো প্রক্রিয়াটি বিনিয়োগকারীদের উপর জোর করে ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলছে। এর ফলে যেসব শেয়ার সাধারণ ও নিম্নমুদ্রার বিনিয়োগকারীদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। যদি তাদের বিনিয়োগ ফেরত না আসে, অনেক বিনিয়োগকারী জীবনে মজুদকারি বা পুঁজিবাজারে আর ফেরার সুযোগ পাবেন না।”
মানববন্ধনকারীরা একই সঙ্গে দ্রুত তদন্ত ও দায়েরকৃত সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতা সম্পর্কে স্বচ্ছ প্রকাশ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানায়।
মন্তব্য করুন
