শুক্রবার
৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শুক্রবার
৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাগসাস নেতার রাগ, ৫০ শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত

এনপিবিনিউজ ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:১০ পিএম
গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) রংপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহম্মদ
expand
গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) রংপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহম্মদ

রংপুর মহানগরের হারাটি উচ্চবিদ্যালয়ে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে বেত দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) রংপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহম্মদের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, গত ৪ সেপ্টেম্বর অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ইমতিয়াজ বিদ্যালয়ে গিয়ে অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির কয়েকটি কক্ষে প্রবেশ করে ফেল করা শিক্ষার্থীদের দাঁড় করান। এরপর তিনি একে একে বেত দিয়ে মারধর করেন। এতে ছেলে ও মেয়ে উভয় শিক্ষার্থীই শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয় এবং কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের দাবি, অন্তত পঞ্চাশের বেশি শিক্ষার্থীকে ওইদিন পেটানো হয়েছিল।

দশম শ্রেণির ছাত্র রিফাত জানান, ক্লাস চলাকালে সভাপতি বেত হাতে প্রবেশ করে ফেল করা শিক্ষার্থীদের দাঁড়াতে বলেন এবং পরে একে একে সবাইকে মারেন। এমনকি মেয়েরাও ছাড় পাননি। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মারতে মারতে বেত ভেঙে যায় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

শিক্ষার্থীদের আরও অভিযোগ, বই দেরিতে পাওয়া এবং নতুন পাঠ্যক্রমের কারণে প্রশ্নপত্র কঠিন হওয়ায় অনেকেই অকৃতকার্য হয়। কিন্তু ইমতিয়াজ তা বিবেচনা না করে “গরু পেটানোর মতো” আচরণ করেন।

ঘটনার পর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রতিবাদ জানান। তবে ১৮ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রধান শিক্ষক কোনো ব্যবস্থা নেননি।

অভিযুক্ত ইমতিয়াজ আহম্মদ বলেন, “আমি ছয় মাস ধরে স্কুলের জন্য কাজ করছি যাতে বাচ্চারা ভালো ফল করে। তাই একটু রাগারাগি করেছি, শাসন করেছি। ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর কোনো অভিযোগ নেই। বিষয়টি অতিরঞ্জিত করা হয়েছে এবং পরে মীমাংসা হয়েছে।”

ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক রংপুরের পরশুরাম থানায় এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। থানার ওসি মাইদুল ইসলাম জানান, সভাপতি বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের শাসন করেছিলেন। একজন অভিভাবক এ বিষয়ে অনলাইনে জিডি করেছেন এবং পুলিশ ঘটনাস্থলেও গিয়েছিল।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান বলেন, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সম্মতিতে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে। তবে শারীরিক নির্যাতনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ওটা তেমন কিছু নয়, সভাপতি শুধু পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার কথা বলেছেন।”

রংপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল হাই বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক শাস্তি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। প্রধান শিক্ষক এ বিষয়ে তাকে কিছু জানাননি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন