শনিবার
০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শনিবার
০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কলেজছাত্রী ও তার বাবাকে মারধর: ছাত্রদলের ২ নেতা বহিষ্কার

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪৩ পিএম
কলেজছাত্রী ও তার বাবাকে বিবস্ত্র করে মারধর
expand
কলেজছাত্রী ও তার বাবাকে বিবস্ত্র করে মারধর

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নে এক কলেজছাত্রী ও তার বৃদ্ধ বাবাকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রদলের ২ নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতেই চরমন্তাজ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি তারিকুল ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতা সায়মুন ইসলামের দলীয় পদ স্থগিত করা হয়েছে। জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন অর রশিদের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তারিকুল ইসলাম মিঠুকে সাংগঠনিক পদ থেকে এবং মো. সায়মুন ইসলামকে দলীয় প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব জাকারিয়া আহমেদ বলেন, গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর দলের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এর আগে, বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমন্তাজ ইউনিয়নের স্লুইস বাজার এলাকায় বাগবিতণ্ডার জেরে তারিকুল ইসলাম ও তার চাচাতো ভাই সায়মুন ইসলাম ওই তরুণী ও তার বৃদ্ধ বাবাকে মারধর করেন।

নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী (২৩) গলাচিপা ডিগ্রি কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বর্তমানে তার বাবাকে (৭০) নিয়ে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। ঘটনার সময় তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লেগেছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল সূত্র।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিযোগ করেন, স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির নেতা রেজাউল মাতব্বরের ছেলে সায়মুন মাতব্বর (২৩) তাকে নানা ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলেন।

প্রতিবাদ করলে সায়মুন লোহার রড দিয়ে তার মাথায় আঘাত করেন। এ সময় এগিয়ে এলে তার বাবাকেও মারধর করা হয়। পরে সায়মুনের সঙ্গে যোগ দেন তার চাচাতো ভাই চরমোন্তাজ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি তারিকুল ইসলাম মিঠুন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর দাবি, হামলার সময় সায়মুন ও মিঠুন তার ওড়না এবং বাবার লুঙ্গি টেনে খুলে নেয়। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে মারধরের কারণে তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে যায়। এতে তিনি একটি চোখ দিয়েও দেখতে পাচ্ছেন না। এর আগেও সায়মুন তার সঙ্গে জবরদস্তিমূলক আচরণ করেছিলেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তুষার আহম্মেদ বলেন, ডায়নার শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে পুলিশি অনুমতি ছাড়া বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়।

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে চরমোন্তাজ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নজরুল মুন্সি বলেন, তরুণীর গায়ে হাত দিয়ে বড় ধরনের অপরাধ হয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন