কৃষিতে নতুন বিপ্লব আনবে বিএনপি: ব্যারিস্টার কায়সার কামাল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল–বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ও নেত্রকোনা–১ (দুর্গাপুর–কলমাকান্দা) আসনের মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আধুনিক সেচব্যবস্থা, খাল খনন কর্মসূচি পুনরায় চালু এবং বাজারব্যবস্থা শক্তিশালী করে কৃষিতে ‘বৈপ্লবিক পরিবর্তন’ আনা হবে।

শনিবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে কলমাকান্দার নাজিরপুর ঈদগাহ মাঠে বিএনপির আয়োজনে ‘কৃষিকথা ও কৃষক সমাবেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।

কায়সার কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশের মূল অর্থনীতি কৃষিভিত্তিক। কৃষকের সমস্যাগুলো জানতে ও সমাধানের পথ খুঁজতেই মাঠে এসেছি। এখানে উপস্থিত খ্যাতিমান কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতামতের আলোকে আমরা নীতি গ্রহণ করবো। নির্বাচিত হলে কৃষিতে নতুন বিপ্লব ঘটাতে চাই। তারেক রহমানের নেতৃত্বে কৃষিকে আধুনিকায়ন করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, পাহাড়ি ঢল, পানির সংকট ও বাজারব্যবস্থার অস্থিতিশীলতা মোকাবিলায় খাল খনন কর্মসূচি পুনরায় চালু করা জরুরি। ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের খাল খনন কর্মসূচির মতো উদ্যোগ আমরা আবারও চালু করবো।’ সমাবেশে প্রধান অতিথি প্রফেসর ওয়াজেদ আলী খান চাষী বলেন, কৃষককে বাঁচাতে না পারলে দেশের অর্থনীতি টিকবে না। তিনি কৃষিখাতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সহজ শর্তে কৃষিঋণ নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।

দুই উপজেলার হাজারো কৃষক, স্থানীয় সাধারণ মানুষ ও বিএনপি–অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন, ঢাক-ঢোল ও লাঠিখেলার মধ্য দিয়ে সমাবেশস্থলকে উৎসবমুখর করে তোলেন।

কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মুহাম্মদ এজমল হোসেন পাইলট এবং উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান ভূঁইয়া অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন কামাল উদ্দীন ফিরোজ, আব্দুস সালাম কেরণ, আপ্তাব উদ্দিন চৌধুরী, আবু চাঁন চেয়ারম্যান, আলম ভূঁইয়া, আওলাদ হোসেন ও হারেজ গনি তালুকদার।

কৃষি বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. শফিউল্লাহ মজুমদার, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিবিদ ড. আহমেদ খায়রুল হাসান ও ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান। তাঁরা বীজমান উন্নয়ন, মাটির স্বাস্থ্য, আধুনিক প্রযুক্তি, ন্যায্যমূল্য ও বাজারব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করেন।

দুর্গাপুর–কলমাকান্দা অঞ্চলে প্রতিবছর কয়েক লাখ কৃষক ধানের পাশাপাশি সবজি উৎপাদন করেন। কিন্তু পাহাড়ি ঢল, সেচসংকট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এসব কৃষক নিয়মিত ক্ষতির মুখে পড়েন। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সমাবেশে কৃষকেরা তাঁদের প্রত্যাশা, সমস্যাবলী ও ভবিষ্যৎ কৃষিনীতি নিয়ে মতামত তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠান শেষে কৃষকদের মধ্যে স্মারক, ক্রেস্ট ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।