

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নড়াইলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) অফিসের অলসতায় থমকে আছে আকদিয়া-নিরালি সড়কের কাজ। দীর্ঘ আড়াই বছরেও শেষ হয়নি এই সড়কটির কাজ।
সড়কের কাজ শেষ না হওয়ায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ ভোগান্তিতে পড়েছেন দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা।
নড়াইল স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে আইআরআইডিপি-৩ প্রকল্পে আকদিয়া-নিরালি ২৫০০ মিটার সড়কের কাজ ২ কোটি ৩০ লাখ ৪৮ হাজার ৬৫৬ টাকা চুক্তিতে মেসার্স ফকির এন্টারপ্রাইজ শুরু করেন।
২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে কাজটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনও বাকি রয়েছে কার্পেটিংসহ পেলাসেটিং এর কাজ।
শিমুলিয়া গ্রামের এক শিক্ষার্থী বলেন, এই রাস্তার সাথে ২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১ টি কলেজ, ১ টি কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন পরিষদ, কয়েকটি ছোট ছোট বাজারসহ ১টি বড় বাজার রয়েছে। রাস্তাটির কাজ এভাবে ফেলে রাখায় ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল কলেজে যাওয়া-আসা করতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। হাট বাজারে যাওয়া-আসাসহ বিল থেকে ফসল আনতে ও আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা পারুল বেগম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটির কাজ শেষ না করে ফেলে রাখায় বর্ষাকালে আমাদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। রাস্তা খারাপের কারনে এখানকার ছেলে মেয়েদের ভালো জায়গায় বিয়ে দিতে পারিনা।
হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতেও অনেক কষ্ট হয় আর রোগী ও অনেক কষ্ট পায়।
স্কুল শিক্ষার্থী আফরিন আকতার বলেন, পায়ে হেঁটে যেতে হয় স্কুলে। ধুলাবালিতে রাস্তা দিয়ে হাঁটাও যায় না। অল্প বৃষ্টিতে রাস্তাটি কাদামাটিতে পরিণত হয়, আমাদের যাতায়াতে অনেক অসুবিধা হয়।
সুজিত বিশ্বাস নামে এক ওষুধ ব্যবসায়ী বলেন, এই রাস্তা নিয়ে আমরা আছি মহাবিপদে দীর্ঘ তিন বছর হলো এই রাস্তার কাজ শুরু হইছে এখনও শেষ হওয়ার নাম নেই। একটা রোগী ও এম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়ার কায়দা নেই।
এ বিষয়য়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফকির এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, সড়কটি নদীর পাশ দিয়ে হওয়ায় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ভেংগে গেছে এবং আমাদের করা এক জায়গার পেলাসেটিংও ভেংগে নদীতে চোলে গেছে যার জন্য কাজটি করতে পারছিনা। আমি অফিসকে চিঠি দিয়েছি, অফিস সমাধান করে দিলেই আমি কাজটি শুরু করব।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার ইকরামুল কবীর বলেন, রাস্তাটি নদীর পাশ দিয়ে হওয়ায় অতিরিক্ত কিছু পেলাসেটিং করা লাগবে। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি বরাদ্দ পেলেই দ্রুত কাজটি শেষ করতে পারব বলে আশা করছি।
মন্তব্য করুন
