মঙ্গলবার
১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মঙ্গলবার
১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কর্মবিরতির মধ্যেও ১৬৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে পরীক্ষা

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৩০ পিএম
ভালুকায় ১৬৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে পরীক্ষা
expand
ভালুকায় ১৬৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে পরীক্ষা

সারাদেশে ১১তম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা বাস্তবায়নের দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা কর্মবিরতিতে বার্ষিক পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিলেও ময়মনসিংহের ভালুকায় ১৬৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সুষ্ঠুভাবে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজৈ, ভালুকা সদর ইউনিয়ন ও পৌরসভার কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর কক্ষে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পরিক্ষা নিতে দেখা যায়। তবে কিছু সহকারী শিক্ষকরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি। পরীক্ষা নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষকেরা।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দুই ধাপে ভালুকা উপজেলার সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রথম বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছেন কিছু সহকারী শিক্ষক এবং প্রধান শিক্ষকরা।

এ দিকে, অবিভাবকরা বলছে, সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে কিছুটা প্রভাব পড়ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপরে। তাই সরকার ও শিক্ষকদের উভয়পক্ষকে বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত বলে মনে করেন তারা।

৮৪ নম্বর কর্ণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আশরাফুল আলম লিটন জানান, আজ সারা বাংলাদেশের ন্যায় ভালুকা উপজেলার সহকারী শিক্ষকরা পরীক্ষা বর্জন করি। আমাদের তিন দফা দাবি বাস্তবায়িত না হলে আমরা ক্লাসে ফিরব না। আজ হয়তো প্রধান শিক্ষকরা অভিভাবকদের নিয়ে পরীক্ষা নিচ্ছেন, কিন্তু মূল্যায়ন করবেকে? তাই আমাদের দাবি অতি দ্রুত মেনে নিয়ে আমাদেরকে ক্লাসে ফিরাতে হবে।

৪৫ নম্বর খারুয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষকরা জানান, দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি এবং আমাদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার সুযোগ করে দিন। আমাদের কোমলমতি শিশুদের বার্ষিক পরীক্ষা নিতে আনন্দঘন পরিবেশে আমরা চাই, আমাদেরকে মূল্যায়ন করতে হবে।

দক্ষিণ ভালুকা সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা জানান, শিশুদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পরীক্ষা নিয়েছি। তবে সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ তারা যেন আমাদের শিক্ষকদের দাবিগুলো খুব দ্রুতই মেনে নেয় বলে জানিয়েছেন ওই সহকারী শিক্ষক।

৪৫ নম্বর খারুয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আমিনা খাতুন জানান, আমাদের সহকারী শিক্ষকরা তাদের দাবির পক্ষে রয়েছে। শুধুমাত্র শিশুদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমরা বার্ষিক পরীক্ষা নিচ্ছি।

১১৭ নম্বর দক্ষিণ ভালুকা সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মমতাজ বেগম জানান, আমাদের সহকারী শিক্ষকরা তাদের দাবির পক্ষে থাকলেও ক্লাসের সময়ও কর্মবিরতির প্রভাব পরেনি। আমরাদের শিক্ষকরা স্বাভাবিক ভাবেই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চালাচ্ছে।

এ ব্যাপারে ভালুকা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান মুঠোফোনে এনপিবি নিউজকে জানান, সকালে উপজেলায় ১৬৪ টি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রথম ধাপের বার্ষিক পরিক্ষা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সহকারী শিক্ষকরা কিছু স্কুলে তারা কর্মবিরতি পালন করছেন। আবার কিছু স্কুলে কর্ম করছে তারা বলে জানিয়েছেন ওই শিক্ষা কর্মকর্তা।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

X