

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সরকারি জমি অবৈধ ভাবে দখলে নিয়ে দোকান ঘর নির্মাণ করে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী ভাড়া আদায় করত। সেই অবৈধ দুই শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে উপজেলার সিন্দুর্ণা ইউনিয়নের হাটখোলায় এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম মিঞা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রন্টি পোদ্দার। স্থানীয় সূত্রে জানান, সরকারী জমিতে দীর্ঘদিন আগে হাটখোলা বাজার গড়ে উঠে। সেখান থেকে বার্ষিক ইজারা আদায় করে সরকার। বাজার ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী বাজার থাকবে উন্মুক্ত। কিছু স্থানে সেট ঘরও নির্মাণ করে দেয় সরকার। কিন্তু কতিপয় অসাধু ব্যাবসায়ী উন্মুক্ত স্থান দখল করে প্রায় দুই শতাধিক পাকা ঘর নির্মাণ করে দখলে নিয়ে ভাড়া দেন।
ফলে বাজার ব্যবস্থাপনা আইন যেমন লঙ্ঘন হয়েছে। তেমনি বাজারকারীদের জন্য সৃষ্টি হয় জানযটের। অপর দিকে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা জায়গার অভাবে ব্যবসা করতে পারছে না। আবার কেউ কেউ অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা দোকানে উচ্চমুল্যে জামানত ও ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করছেন। ফলে বাজারের মান দিন দিন নিম্রমুখি হয় এবং ব্যাবসা বাণিজ্যের পরিবেশ নষ্ট হয়।
উপজেলা প্রশাসন এসব অবৈধ দখলদারদের একাধিকবার নোটিশ ও মাইকিং করেও তারা তাদের স্থাপনা সড়িয়ে না নিলে অবশেষে সেই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। বাজার অবৈধ দখল মুক্ত হওয়ায় স্বস্তি ফিরে আসে প্রকৃত ব্যবসায়ী ও সাধারন মানুষের মাঝে।
উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) শামীম মিঞা বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনা বিধিমালা লঙ্ঘন করে কতিপয় ব্যক্তি পেরিফেরি ভুক্ত জায়গা দখলে নিয়ে একেকজন ৫/৭টি করে রুম করে দখলে নিয়ে ভাড়া দিয়েছিল।
আমরা এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি। বাজারের সেট ঘর সংস্কার করা হবে এবং প্রকৃত ব্যবসায়ীদের পুনবাসন করা হবে। এতে সরকারের রাজস্ব বাড়বে।
মন্তব্য করুন