

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


লক্ষ্মীপুরে স্ত্রীর স্বীকৃতির জন্য তিন দিন ধরে ২৫ বছর বয়সী তরুণী তাসলিমা আক্তার রিমা সৌদি প্রবাসীর হৃদয় হোসেনের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
স্বীকৃতি আদায় না হলে তিনি আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে আসছেন। সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের দক্ষিণ মান্দারী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। তবে হৃদয় সৌদি আরব রয়েছেন।
রীমা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানাধীন খাড়েরা ইউনিয়নের বুগীর গ্রামের মো. মিলন মিয়ার মেয়ে। তিনি এক সন্তানের জননী। হৃদয় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ মান্দারী গ্রামের মমিন উল্যার ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দা নুর হোসেন, ফারুক হোসেন ও মসজিদ কমিটির সভাপতি হারুনুর রশিদ হান্নান জানায়, একটি মেয়ে হৃদয়ের বাড়িতে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে অবস্থান করছে।
হৃদয় পরিবারের চাপে বিষয়টি অস্বীকার করছে বলে মনে হচ্ছে। তাবে তাদের দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের হিরাজিল এলাকায় খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পেরেছি তাদের বিয়েও হয়েছিল।
হৃদয়ের বাবা মমিন উল্যা বলেন, প্রেমের সম্পর্ক বা বিয়ের বিষয়টি আমরা আগে জানতাম না। হৃদয়ও আমাদের বলেনি।
হৃদয় হোসেন মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের বলেন, রিমার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল, তবে তাকে বিয়ে করিনি। আগে তার বিয়ে হয়েছে, সেখানে তার সন্তানও আছে। বিষয়টি জানতে পেরে আমি সম্পর্ক ছিন্ন করেছি। টাকা নেওয়ার ঘটনাটি সত্য নয়।
মান্দারী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এডভোকেট শাহাদাত হোসেন বাবলু বলেন, হৃদয়ের সঙ্গে তরুণীর সম্পর্ক ছিল। ছেলেটি বিয়ের কথা অস্বীকার করছে। পরিবারও বিষয়টি মেনে নিচ্ছে না। তবে হৃদয়ের পরিবার সম্পর্কের বিষয় আগ থেকেই জানতো।
রিমা জানায়, তার আগের স্বামী মাদকসেবী হওয়ায় সংসার করা হয়নি। নারায়ণগঞ্জের হিরাজিল এলাকায় তিনি একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। সেখানে হৃদয়ও চাকরি করতো। সেখানে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তার আগের সংসার ও সন্তানের কথাও হৃদয় জানতো।
সম্পর্কের ৮ মাস পর গত ২০ ফেব্রুয়ারি তাদের বিয়ে হয়। তবে কাবিনামা হয়নি। বিয়ের পর হিরাজিল এলাকায় তারা ভাড়া বাসায় থাকতো। হৃদয়ের পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতো। গত ঈদুল আজহার ছুটিতে সে বাড়িতে যায়। তাদের বাড়ি করার সময়ও ৩ লাখ টাকা নিয়েছে।
কিন্তু ঈদের পরে তাকে না জানিয়ে হৃদয় সৌদি চলে যায়। পরে তাকে বিষয়টি জানানো হয়। এরমধ্যেই তিনি অন্তঃস্বত্ত্বা হই। হৃদয়ের চাপাচাপিতেই ওই সন্তান নষ্ট করতে তিনি বাধ্য হয়েছেন।
রিমা বলেন, হৃদয় তার মায়ের কারণে আমাকে মেনে নিচ্ছে না। তাই গেল এক মাস আগে আমি হৃদয়ের গ্রামের বাড়িতে আসি।
তারা আমাকে অপমান-অপদস্ত করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আমি পুনরায় তার বাড়িতে এসে উঠি। সংসার করার জন্য আমি বিয়ে করেছি। তা না হলে এ বাড়িতে আত্মহত্যা করবো।
মন্তব্য করুন
