

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


মিয়ানমারের জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে তিনটি ফিশিং ট্রলারসহ ১৬ জন জেলেকে আটক করেছে আরাকান আর্মি।
আটক জেলেদের মধ্যে বাংলাদেশের নাগরিক এবং রোহিঙ্গা উভয়েই রয়েছেন। টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী বোট মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সাজেদ আহমেদ জানান, সেন্টমার্টিনের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় টেকনাফ পৌরসভার কলেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা জাকিরের মালিকানাধীন একটি ট্রলারসহ ৬ জন রোহিঙ্গা যুবককে আটক করে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি।
এছাড়া আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা অপর দুটি ট্রলারে থাকা আরও ১০ জন জেলের আটকের খবর পাওয়া গেছে, যদিও তাদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করা যায়নি। তিনি বলেন, আটক সবার পরিচয় নিশ্চিতকরণে কাজ চলছে।
এদিকে মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, বাংলাদেশি মাছ ধরার নৌকার অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ‘আরাকান কোস্টাল সিকিউরিটি পেট্রোল’ নিয়মিত টহল জোরদার করেছে। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ১৮ নভেম্বর সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে মংডু টাউনশিপের থাওয়াইং চাউং গ্রামের পশ্চিম উপকূল থেকে প্রায় ২.৭ কিলোমিটার দূরে অভিযান চালিয়ে ছয় বাংলাদেশি জেলেসহ একটি ট্রলার আটক করা হয়। এসময় ট্রলার থেকে মাছ ধরার জাল, বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও বাংলাদেশি মুদ্রা জব্দ করা হয়।
একই দিনে রাথেডং টাউনশিপ উপকূল থেকে প্রায় ৩.৫৮ কিলোমিটার দূরে পরিচালিত আরেক অভিযানে আরও দুটি ট্রলারসহ ১০ জন জেলেকে আটক করে নিরাপত্তা বাহিনী। এসব ট্রলার থেকেও জাল, মাছ ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
পরে তিনটি ট্রলার, ১৬ জেলে ও জব্দকৃত সামগ্রী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানানো হয়। আরাকান অঞ্চলের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।এর আগে ১২ নভেম্বর বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের সময় জলসীমা অতিক্রম করায় দুটি ট্রলারসহ ১৩ জন রোহিঙ্গা জেলেকে আটক করেছিল আরাকান আর্মি।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ১৮ জানুয়ারি থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত মানবিক বিবেচনায় আরাকান কর্তৃপক্ষ ১৮৮ জন বাংলাদেশি জেলে ও ৩০টি নৌকা ফেরত দিয়েছিল।
মন্তব্য করুন