

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


কুমিল্লা-৬ (সদর, সদর দক্ষিণ, সিটি করপোরেশন ও সেনানিবাস এলাকায়) আসনের রাজনীতিতে আবারও আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে তিনি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। বিএনপি থেকে আজীবন বহিষ্কৃত এই নেতা রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে তাঁর প্রতিনিধিদের মাধ্যমে মনোনয়ন ফরম নেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মু. রেজা হাসানের কাছ থেকে সাক্কুর পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন বিএনপি নেতা নবী নেওয়াজ, বাপ্পী ও কবির মজুমদার।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের বিষয়টি নিশ্চিত করে মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘মনোনয়ন কিনতে সমস্যা কী? নির্বাচনের প্রস্তুতি আছে। ফরম সংগ্রহ করেছি, জমা দেব নিজে গিয়ে।’ তিনি জানান, আপাতত তিনি দলীয় প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরীর পক্ষেই ভোট চাইছেন।
দলীয় সূত্র জানায়, কুমিল্লা-৬ আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল হক চৌধুরী। একই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মাঠে রয়েছেন দলের আরেক উপদেষ্টা হাজি আমিন উর রশিদ ইয়াছিন। স্থানীয়ভাবে হাজি ইয়াছিনের সঙ্গে সাক্কুর রাজনৈতিক বৈরিতা সুপরিচিত।
সাক্কুর ঘনিষ্ঠদের মতে, এই বৈরিতার কারণেই তিনি কৌশলগত অবস্থান নিয়েছেন। দলীয় মনোনয়ন না পেলেও রাজনীতির মাঠে নিজের প্রভাব ধরে রাখতে তিনি মনিরুল হক চৌধুরীর পক্ষে সক্রিয় রয়েছেন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম নেওয়ায় ভবিষ্যৎ অবস্থান নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে।
কুমিল্লার রাজনীতিতে মনিরুল হক সাক্কু দীর্ঘদিনের পরিচিত নাম। ২০১২ সালে নাগরিক কমিটির ব্যানারে প্রথম সিটি নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ২০১৭ সালে বিএনপির মনোনয়নে আবারও মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। তবে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে ২০২২ সালের সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাঁকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
এরপরও রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাননি সাক্কু। ২০২৩ সালে সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেন তিনি। সম্প্রতি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক এবং দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে অংশ নেওয়ায় তাঁকে দলে ফেরানোর সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের এই পদক্ষেপকে কেউ দেখছেন নির্বাচনী কৌশল হিসেবে, কেউবা দেখছেন কুমিল্লা-৬ আসনের রাজনীতিতে নতুন করে মেরুকরণের ইঙ্গিত হিসেবে।
মন্তব্য করুন
