

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


অ্যাপসের মাধ্যমে পরিচয়, তারপর প্রেম- এভাবেই চীনের লুইজাউ প্রেমিকার বাড়ি ভোলায় পৌঁছেছেন।
ঘটনা সোমবার ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে, খালের পাশে অবস্থিত স্লুইজ গেট এলাকায় ঘটে।
প্রেমিকার বাড়ি ওই এলাকায়, তার নাম ফেরদৌস আক্তার (২০), স্থানীয় আমানউল্লাহর সপ্তম সন্তান।
প্রেমিক লুইজাউ চীনের সিচুয়ান প্রদেশের লুঝৌ শহরের গু্লিন কাউন্টি, তুচেং গ্রামের রোশন লুন ও হুয়াং কিয়াং-এর প্রথম সন্তান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লুইজাউ রোববার বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টার দিকে ঢাকায় পৌঁছান। বিমানবন্দরে ফেরদৌস, তার মা মরিয়ম বেগম ও দুলাভাই নুর হোসেব কারিম তাকে স্বাগত জানান।
এরপর দুপুরে ঢাকা সদরঘাট থেকে লঞ্চে করে ভোলার উদ্দেশে রওনা হন। রাত ২টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের খাল সংলগ্ন স্লুইজ গেটে পৌঁছান।
ফেরদৌস আক্তার জানান, প্রায় এক বছর আগে ‘ওয়ার্ল্ড টক’ নামে একটি অ্যাপের মাধ্যমে লুইজাউর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর কথোপকথনের মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
একপর্যায়ে তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। বাংলাদেশে এসে বিয়ে করে লুইজাউ তাকে চীনে নিয়ে যাবেন। এজন্য ফেরদৌস তিন মাস আগে পাসপোর্ট করিয়েছিলেন।
ফেরদৌসের মা মরিয়ম বেগম বলেন, “মেয়ের সঙ্গে চীনা যুবকের সম্পর্কের কথা আমি কয়েক মাস আগে থেকে জানি। এখন ছেলে এসেছে, আমরা তাদের বিয়ে দেব।”
লুইজাউ বলেন, “আমি পরিবারের বড় সন্তান। চীনের চেংদুতে পোশাক ও জুতার শোরুমের ব্যবসা করি। অ্যাপের মাধ্যমে ফেরদৌসের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল, কথা বলার মধ্য দিয়ে আমি তাকে ভালোবেসেছি।”
ভোলা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়া উদ্দিন জানান, বিষয়টি থানায় জানানো হয়েছে। চীনা যুবক বৈধভাবে দেশে প্রবেশ করেছেন এবং বর্তমানে প্রেমিকার বাড়িতেই অবস্থান করছেন।
মন্তব্য করুন