

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের অফিস বাজার এলাকায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণে অনিয়ম ও ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপকারভোগীরা অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় ডিলার লিটন হাওলাদার ৩০ কেজি চালের টাকা রেখে ২৫ থেকে ২৭ কেজি পর্যন্ত চাল দিয়েছেন।
এ অনিয়মের প্রতিবাদ করলে বেশ কয়েকজন উপকারভোগীকে চাল না দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে এবং তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে।
সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় আমতলী উপজেলার ১৩ হাজার ১৫৮টি পরিবারকে প্রতি কেজি ১৫ টাকায় ৩০ কেজি করে চাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার নভেম্বর মাসের চাল বিতরণ করেন ডিলার লিটন হাওলাদার। উপকারভোগীদের অভিযোগ, তিনি চালের পূর্ণ পরিমাণ না দিয়ে কম দিয়েছেন এবং কার্ডধারীদের একাংশকে চাল না দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপকারভোগী জানান, ৩০ কেজি চালের টাকা নেওয়া হলেও ২৫–২৭ কেজি চাল দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রতিবাদ করায় ডিলার আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন।
কাঠালিয়া গ্রামের উপকারভোগী শানু তালুকদার বলেন, ৩০ কেজি চালের দাম ৪৫০ টাকা পরিশোধ করেছি, কিন্তু পেয়েছি মাত্র ২৬ কেজি। প্রতিবাদ করায় আমাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মোতালেব গাজী অভিযোগ করেন, সাংবাদিকদের চাল কম দেওয়ার কথা জানানোয় আমাকে চাল দেওয়া হয়নি। পরে ডিলার লিটন আমাকে হুমকি দেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ডিলার লিটন হাওলাদার গোপনে চাল মেপে দিচ্ছেন এবং চাল পরিমাপের স্থানে কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না। তদারকি কর্মকর্তাকেও তখন সেখানে পাওয়া যায়নি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিলার লিটন হাওলাদার অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি নিয়মমতোই চাল বিতরণ করেছি।” তবে অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি।
তদারকি কর্মকর্তা ও হলদিয়া ইউনিয়নের প্রধান শিক্ষক মো. সায়েদ গাজী বলেন, আমি বরিশালে ছিলাম, আমার প্রতিনিধি দায়িত্বে ছিলেন। তিনি যতক্ষণ ছিলেন, কোনো অনিয়ম হয়নি। পরে কী হয়েছে, তা বলতে পারব না।
আমতলী উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা শারমিন জাহান বলেন, ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন