

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


পিরোজপুর সদর উপজেলার কলাখালী ইউনিয়নে বিএনপির কার্যালয়ের সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে এক প্রবাসী দম্পতির জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান হাওলাদারের বিরুদ্ধে।
অভিযোগে জানা গেছে, স্কটল্যান্ড প্রবাসী কাজী বাহাদুর ও তার স্ত্রী নুসরাত জাহান সম্প্রতি কলাখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে ৪৩ শতক জমি ক্রয় করেন। ক্রয়ের প্রায় এক মাস পর স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান হাওলাদার ওই জমি নিজের দাবি করে সেখানে “১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি কার্যালয়” নামে একটি সাইনবোর্ড টানান এবং জমিটি দখল করে নেন।
প্রবাসীর মেঝ ভাই তোবারেক কাজী জানান, জমি দখলে বাধা দিতে গেলে সিদ্দিকুর রহমান হাওলাদার তাদের হুমকি দেন।
স্কটল্যান্ড থেকে মুঠোফোনে কাজী বাহাদুর বলেন, “আমি ও আমার স্ত্রী নুসরাত জাহান ক্রয়সূত্রে এই জমির মালিক। সেখানে আমার ১৩.৮৫ শতাংশ, আমার শাশুড়ির ৪.৬১ শতাংশ এবং মামা শ্বশুরের ৯.২৩ শতাংশ জমি রয়েছে। জমি কেনার সঙ্গে সঙ্গেই সিদ্দিকুর রহমান বিএনপির কার্যালয়ের ব্যানার সাঁটিয়ে দেয়। আমি কলাখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি চাঁন সরদার ও সাধারণ সম্পাদক এনাম মৃধাকে জানিয়েছি। তারা নিষেধ করলেও সিদ্দিকুর কোনো কর্ণপাত করেনি।”
তিনি আরও জানান, সদর থানার ওসি মো. রবিউল ইসলামকেও বিষয়টি অবহিত করা হলেও এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
অভিযুক্ত সিদ্দিকুর রহমান হাওলাদার অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,“এটা আমার পিতার ক্রয়কৃত সম্পত্তি। তাই আমি বিএনপির সাইনবোর্ড টানিয়েছি। দলীয় অনুমতির প্রয়োজন মনে করিনি। কেউ আমার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেছে, আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করব।”
এ বিষয়ে কলাখালী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ডালিম ডাকুয়া বলেন, “সিদ্দিকুর রহমান একজন ভূমিদস্যু। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও সে স্থানীয় আওয়ামী নেতাদের সঙ্গে মিলে নানা অপকর্মে জড়িত ছিল।”
ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বলেন, “দলীয় কার্যালয় বা ব্যানার টানানোর আগে উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের অনুমতি নিতে হয়। সিদ্দিকুর রহমান কোনো অনুমতি নেয়নি। তার বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন সরদার চাঁন জানান,“বিএনপির সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে জমি দখলের অভিযোগ পেয়েছি। আমি তাকে সাইনবোর্ড নামাতে বলেছি, পরে নামিয়েছে কি না তা নিশ্চিত নই।”
পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক নজরুল ইসলাম খান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,“ওকে সাইনবোর্ড টানাতে কে বলেছে? এমন কাজ করলে শাস্তি পেতেই হবে। বিষয়টি নিয়ে এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো. রবিউল ইসলাম বলেন, “অভিযুক্তকে কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে যদি প্রমাণিত হয় জমি দখল করা হয়েছে, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মন্তব্য করুন